![](https://shaptahikproshanti.com/wp-content/uploads/2021/12/Abaro-ealo-december.jpg)
গতানুগতিক ধারাবাহিকতায় এবারের ডিসেম্বর একটু ভিন্নতা নিয়ে জনসম্মুখ্যে প্রকাশ হলো। এবারের ডিসেম্বর’র প্রতিপাদ্য নিয়ে ভাবার সময় এখন। এই ডিসেম্বর হউক সাম্যের, স্থিতিশীলতার, ন্যায়ের, শান্তিপূর্ণ সহবস্থানের, উন্নয়নের, স্বাধীন জীবন ভোগ বিলাসের নিশ্চয়তার, মানুষকে কাছে টানার, মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আগামীর নের্তৃত্ব স্থায়ী করার, সর্বোপরি সোনার বাংলা গড়ার কারিঘরদের স্বীয় মর্যাদায় আসীন করে আগামীর পথ সুপ্রস্থ করার। সম্মান ও শ্রদ্ধাকে জাগ্রত রাখার এবং যোগ্যদেরকে যোগ্য স্থানে প্রতিষ্ঠীত করে বিশ্ববিখ্যায় বাংলাদেশকে আরে সুউচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার। ত্যাগ ও তিতিক্ষায় আজ আমাদের আর্জন যা দৃশ্যায়মান। এই অর্জনের জন্য দীর্ঘ ৫০টি বছর অতিক্রম করে আসতে হয়েছে তবে আগামীতে এই অর্জনকে আরো সহজলভ্য করতে যুগোপযোগী চিন্তা ও পরিকল্পনার সম্বনয়ে বাস্তবায়নযোগ্য করে দৃষ্টিসীমায় আনয়ন করতে হবে।
আমরা শপথ নিয়েছি, বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছি, যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এমনকি ৩০লক্ষ্য শহীদ ও ৩লক্ষ্য নির্যাতিত সম্ভম হারানো মা-বোনদেরকে অবনত মস্তকে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জ্ঞাপন করেছি, তাদের আত্মত্যাগের কাছে চীরকৃতজ্ঞ থাকার বন্ধন অটুট রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছি; দেশের তরে জীবনোৎসর্গ এবং কর্মোৎসর্গকারীদের পাশে থাকার সংকল্পে আবদ্ধ থাকার আশা পোষন করছি; দেশদ্রোহী, দেশবিরোধী কর্মকান্ডের সঙ্গে আপোষকামী মনোভাব পরিবর্তন করে দেশের তরে জীবন উৎসর্গকরণে মনোনিবেশ করার বিনীত অনুরোধ রাখছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ই আগষ্টে তাঁর সঙ্গে ঘাতকের হাতে নিহত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞচিত্তে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তাদের মহান ত্যাগের মহিমায় আমরা আগামীকে নব উদ্যমে উদভাসিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যাচ্ছি ও যাব। স্মরণ করছি জাতিয় চার নেতাকে (জেলখানায় ঘাতক জিয়ার আদেশে তার অধিনস্তদের নির্মমতার স্বীকারে জীবন উৎসর্গ করেছেন) যারা এই দেশকে অধিনস্ততা এবং কমান্ড ও দিকনির্দেশনা পালনে এমনকি পালন করানোতে অমর শিক্ষা হয়ে পুস্তুকাকারে চীর জাগ্রত রয়েছেন। বশ্যতা, বাধ্যতা এবং নম্রতা ও বিনয়; অফিস-আদালত ও শিক্ষাঙ্গন এমনকি কর্মক্ষেত্রে ও পরিবারে শিক্ষনীয় পর্যায়ের অগ্রজে থাকবেন। আমি আজকের দিনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাচিত্তে শ্রদ্ধা ও বিনয় প্রদর্শন করছি।
তবে একটি বিষয় দু:খের যে, শুধু ডিসেম্বর বা কোন দিবস আসলেই জাতির সম্মুখ্যে এই সকল বিষয়গুলো উকি দেয় কিন্তু আজ বিজয়ের ৫০শে সুবর্ণজয়ন্তীর মুহুর্ত্ত্বে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই যে, সমগ্র বছরই আমরা আমাদের শিকড়কে আকড়ে ধরে সামনে অগ্রসর হবো। শিকড়ের সঙ্গে বেঈমানী নয় এমনকি কোন আপোকামীতায়ও নয় বরং শিকড়কে আরো গভীর থেকে গভীরে প্রোথিত করে সামনে অগ্রসর হবো। অতিতকে স্মরণে রেখেই সামনে অগ্রসর হবো এবং চলমান উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাবাহিকতার গতি আরো বাড়িয়ে বিশ্বময় বাংলা ও বাংলার এবং বাংলাদেশের ও বাংলাদেশীদের আলোকচ্ছটা প্রজ্জ্বলিত রাখব। এই পঞ্চাশে যা অর্জীত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব এবং গতিময়তা আনয়নে কাজ করব। এই পঞ্চাশকে পুজি করে সামনে এগুবো এমনকি এই পঞ্চাশের ভিত্তিতেই আগামীর গনতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিধানে মনযোগী হয়ে মনোনিবেশ করব। এই বিজয়ে চিহ্নিত অসমাপ্ত কাজের সমাপ্তীর রেস টানতে স্ব স্ব ভুমিকায় উর্ত্তীর্ণ হবো এই আকাঙ্খায় নব উদ্যোমে কাজের গতিময়তায় ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব।
গত ডিসেম্বরের চেয়ে এই ডিসেম্বর একটু স্বাধীন চেতনার ধারক ও বাহক এমনকি পরিস্ফুটক। গতবারের অভয়ারণ্যে করোনা ছোবলাক্রান্ত হয়ে মলিন ছিল আমাদের মননে কিন্তু আজ উল্লসিত, উচ্চসিত এবং হৃদয় হিল্লোলে সমাদ্রিত। জাগ্রত জনতা এইবার সকল ভয়কে অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। সেই পাকিস্থানী হানাদার মুক্তির স্বাদে আবার করোনা ছোবলমুক্ত বাংলাদেশ উপহারের মোড়ক উন্মোচন করেছে মাত্র। তাই এই ভিন্নতায় আজ আমরা বাঙ্গালী জাতি হিসেবে গর্বিত ও বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়িয়ে বিশ্ব নের্তৃত্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার মোড়কে নিশ্চয়তা দিয়ে অভয়ারণ্যে পরিণত করতে প্রস্তুত। আসুন সকলে মিলে এই অভয়ারণ্য উপহার দিতে সামনে এগিয়ে যাই আর বাংলা ও বাংলার গর্ব বাংগালীর চেতনায় উদভাসিত লাল সবুজের পতাকায় মোড়ানো বাংলাদেশকে তুলে ধরি। জয় আমাদের হয়েছে এবং আগামীতেও হবে; বিশ্বাস এবং আস্থা রাখুন আল্লাহ আমাদের সহায়।