প্রশান্তি ডেক্স॥ গত শুক্রবার ১০/১২/২০২১তারিখ মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক কসবা ও আখাউড়া সফর করেন এবং উক্ত সফরে তিনি বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন আর আখাউড়া ও কসবায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
এডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চে তিনি আখাউড়া পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল এবং উপস্থিত নের্তৃবৃন্ধ ও সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্থানীয় শীতার্তদের মাঝে প্রতিবারের মত এবারও কম্বল বিতরণ করেন। মন্ত্রীমহোদয়ের সফরসঙ্গি হিসেবে ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আলাউদ্দিন বাবু এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব গোলাম সারওয়ার সাহেব সহ বাকী সফরসঙ্গিরা। তিনি কসবার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মাঠেও কম্বল বিতরণ করেন। এবং এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবার প্রীয় মুখ যিনি বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব রাশেদুল কাউছার জীবন ভুইয়া, পৌর মেয়র জনাব এম জি হাক্কানী সাহেবসহ রাজনীতিক নেতা কর্মী ও সফরসঙ্গী এবং স্থানীয় জনতা। এছাড়াও তিনি কুটি বাজার হতে কসবা পুরাতন বাজার জিসি সড়কে ৭৭১০ মিটার চেইন গেজে ২৭.০০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
কসবা এবং আখাউড়ায় বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্যে প্রথমে তিনি বলেন ১৫ আগষ্ট এবং খালেদার রঙ্গীন জন্মদিন সম্পর্কে। তিনি স্পষ্ট করেন জিয়া এবং খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্য এবং বাস্তবে চরিতার্থ করা নোংরা ও লোভী রাজনীতি। তিনি কাটা ঘায়ে নূনের ছিটার মত খালেদার ভূয়া জন্মদিন উদযাপনকে অভিহিত করেন। তিনি আরো বলেন ১৫ আগষ্ট এবং ২১ আগষ্ট ও জিয়ার জঘন্য রাজনীতির ঘৃন্য পরিনতীর স্বীকারে হাতরানো মানুষগুলোর বেশী ভোক্তভোগীর একজন (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী) অপরাধি খালেদাকে দয়া দেখিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। খালেদাকে মানবিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের বহিপ্রকাশে মুক্ত করার প্রেক্ষিতে বিএনপির অন্যায় আবদার ও অযৌক্তিক দাবী সম্পর্কে তিনি এও বলেন যে, বসতে দিলে খেতে চায় আর খেতে দিলে শুতে চায়। আসলে এটি সত্যিই একটি বাস্তব সত্য। তবে তিনি বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কেও খুবই গভীর কথা বলেছেন যে, আন্দোলন করে মানবিকতা আদায় করা যায় না। খুমকি ও ধমকি দিয়ে এমনকি সম্পর্কে ফাটল ধরিয়ে কোন দাবি বা অধিকার এমনকি মানবিক চাওয়া-পাওয়া আদায় হয়না বরং সম্পর্ক উন্নয়নেই মানবিক থেকে অতিমানবিক আচরণ এর বহি:প্রকাশ ঘটে। তিনি আইন মন্ত্রী এবং তাঁর সততা এবং ন্যায়ের দৃষ্টান্ত এমনকি নেতার প্রতি বিশ^স্ত থেকে আইনের উপর দাঁড়িয়ে সংসদে, সাংবাদিকের প্রশ্নে এবং নিজের কথায় একই অবস্থানে রয়েছেন। খালেদার বিদেশে চিকিৎসার কোন সুযোগ নেই। তবে তিনি তার বিভিন্ন বক্তব্যে একটি সুযোগের কথা বলেছেন, যে সুযোগের কথা তিনি বলেছেন সেই সুযোগ বিএনপি এখন নিতে পারে। এইক্ষেত্রে আইন মন্ত্রী আইনজীবিদের সঙ্গে বৈঠকে যথেষ্ট মার্জিত, জ্ঞানী ও সহানুভুতিশীল ছিলেন আর পারিবারিক ঐতিহ্য সৌজন্যতার অতি উত্তম কাজটুকু করেছিলেন এমনকি যথেষ্ট সময় নিয়ে পৃথিবীর আইন এবং ঐসকল আইনের দৃষ্টান্ত পরখ করে দেখেছেন যাতে করে খালেদাকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় কিন্তু দু:খের বিষয় হলো ঐসকল আইনে তাঁর বিদেশ যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। আইনের হাতকড়াই এখন বিএনপি তথা তাদের অপরাজনীতি ও রাজনীতির কূটকৌশলগুলো বন্ধি।
জনাব আনিছুল হক সাহেব আরো বলেন যে, আখাউড়াতে আমি দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচন ঘোষণা করেছি আর আজ কসবায় প্রতীকবিহীন নির্বাচনের ব্যবস্থা উন্মুক্ত করলাম। যাতে জনআকাঙ্খা পরিপূর্ণ হয় এবং প্রকৃত সেবকেরা সেবা করার সুযোগ পায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ও এই একটিই। তিনি জনআকাঙ্কাকে সর্বপ্রথমে রেখে তাঁর সকল কাজ পরিচালনা করেন। জনগণই তার শক্তি আর জনশক্তিতে বলীয়ান হয়েই তিনি দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। শয়তানের কুমন্ত্রণা এবং কুচক্রিমহলের ষঢ়যন্ত্র সব নস্যাৎ হচ্ছে জনআকাঙ্খার প্রতিফলনে। জনআকাঙ্খাই সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় আর তাই সৃষ্টিকর্তা মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখে দেশ পরিচালনায় সুযোগ দিয়ে যাচ্ছেন। এই আমাদের গর্ব ও অহংকার আনিছুল হক শ্যানন সাহেবও সেই কাজটুকুই করে যচ্ছেন। যা জনগণ ভোগ করে যাচ্ছে এবং আগামী দিনেও যাবে। তাই সেই মহান নি:স্বার্থবান মানুষটির সঙ্গে থেকে আগামীর কসবা ও আখাউড়াকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের। জয় হবেই হবে। কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এবং আখাউড়া ও ঢাকায় একসঙ্গে ফিরে বিস্তারিত তুলে ধরেন আমাদের প্রশান্তি প্রতিনিধি।