বা আ ॥ রাজশাহী মহানগরীর ৩৫টি মাদ্রাসাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ৬৪টন চাল প্রদান করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাসিক মেয়র বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে উন্নয়ন করছেন। বর্তমান সরকার ইমাম, আলেম ও উলামাদের কল্যানে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে যখন যে সহায়তা উপকরণ আমরা পেয়েছি, তা অতি দ্রুততম সময়ে বিতরণ করেছি।
আগামীতেও সরকারি যে সহায়তা পাওয়া যাবে, সেগুলোতে দ্রুত সময়ে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হবে। মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীতে সকলের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে রয়েছে। এটি বজায় রেখে মানবসেবা ও মানবকল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। শিক্ষানগরী রাজশাহীতে মিশরের আল আজহার বিশ^বিদ্যালয়ের শাখা স্থাপন হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে দেশটির বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেপুটি এ্যাম্বাসেডর আমার সাথে সাক্ষাৎ করে গেছেন। সেটি বাস্তবায়ন হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজশাহীর সুনাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি শাহাদত আলী। বক্তব্য রাখেন রাজশাহী উলামা কল্যান পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল গণি, উপদেষ্টা ও রাজশাহী দারুস সালাম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এইচএম শহীদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, ০৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, সচিব মোঃ মশিউর রহমান, উলামা কল্যান পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সহ মাদ্রাসার প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দ ও উলামায়ে কেমারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মহানগরীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম দরগা মাদ্রাসাকে ৫টন চাল, জামিয়া ইসলামিয়া মিয়া মুহাম্মদ কাসেমী মাদ্রাসাকে ৫ টন, জামিআ দারুল উসওয়াহ মাদ্রাসাকে ৫টন, জামিয়া উসমানিয়া মাদ্রাসাকে ৫টন, রানী বাজার কেন্দ্রিয় আহ হাদীস মাদ্রাসাকে ৫টন, জামিআ রহমানিয়া মাদ্রাসাকে ২টন, দারুল উলুম মাদ্রাসাকে ২টন, জামিয়া সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসাকে ২টন, রাণীবাজার কেন্দ্রিয় মসজিদ মাদ্রাসাকে ২টন, হেতেম খাঁ গোরস্থান মাদ্রাসাকে ২টন, মহিষবাথান গোরস্থান মাদ্রাসাকে ২টন, মার্কাজ মসজিদ মাদ্রাসাকে ২টন, মানজার-ই-ইসলাম মাদ্রাসাকে ২টন, মুন্সিডাঙ্গা মাদ্রাসাকে ২টন, হাউজিং কোয়াটার মাদ্রাসাকে ১টন, জামালপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, কেশবপুর শাহি জামে মসজিদ মাদ্রাসাকে ১টন, দড়ি খরবোনা হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, শাহ সামাদ হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, আয়াতুল্লাহ দারুল উলুম মাদ্রাসাকে ১টন, কাজিহাটা হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, দাশমারি হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, তাজবিদুল কুরআন মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে ১টন, চন্ডিপুর ভাটাপাড়া মাদ্রাসাকে ১টন, ফাতেমা (রা.) মাদ্রাসাকে ১টন, খাদেমুল ইসলাম মাদ্রাসাকে ১টন, হেতেম খাঁ মসজিদ মাদ্রাসাকে ১টন, রিয়াজুল জান্নাত মাদ্রাসাকে ১টন, টিকাপাড়া এতিম খানা মাদ্রাসাকে ১টন, মেহেরচন্ডি পূর্ব পাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, গোলজারবাগ দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে ১টন, বহরমপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন, কিসমত কুখন্তি আবু কাউসার এতিমখানাকে ১টন, মোহনপুর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসাকে ১টন ও নূর-ই মদিনা মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানাকে ১ টন চাল প্রদান করা হয়।