ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় ইভটিজিংয়ে বাধা দেয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরসহ লোকজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে এলাকার বখাটে ইভটিজার ও তাদের সাংগ পাংগরা। গতকাল দুপুরে পৌর শহরের সাহাপাড়া মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫ বখাটেকে আসামী করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী। আসামীরা হলো পৌর শহরের শান্তিপাড়া এলাকার মোবারক হোসেন নাছিরের ছেলে হাসান মিয়া (১৮), একই পাড়ার তপু মিয়া (১৮), পিতা- অজ্ঞাত, স্কুল পাড়া এলাকার মো.কামাল মিয়ার ছেলে তাজিম (১৮) ও বিল্লাল হোসেনের ছেলে তামিম (১৮) এবং চড়নাল গ্রামের মঙ্গল মিয়ার ছেলে রামিম (১৯)।
থানায় অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, পৌরশহরে ঘটনাস্থলের কয়েকশ গজ দুরত্বে অবস্থিত কসবা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় সাহাপাড়ার মোড়ে অবস্থিত খান ভ্যারাটিজ ষ্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে পৌর শহরের হাসান মিয়ার নেতৃত্বে কিছু বখাটে ছেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ দোকানে আসা নারী ক্রেতাদের দীর্ঘদিন যাবত উত্যক্ত করে আসছে । ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিদ্দিক খান ও আল আমিন খান তাদেরকে বেশ কিছুদিন যাবত দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েদের উত্যক্ত না করার জন্য অনুরোধ করলেও এরা তাদের কথায় কর্ণপাত করেনি।
বরং অন্যান্য দিনের মতো গতকালও হাসান মিয়া সহ বখাটেদের দোকানের সামনে দাড়িয়ে ইভিটিজিং করতে নিষেধ করার কিছুক্ষন পর বখাটেরা সংঘবদ্ধ হয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ মালিক ছিদ্দিক মিয়া ও তার ভাইদের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় ছিদ্দিক মিয়া সহ তার ভাইয়েরা তাদের আক্রমন থেকে বাঁচতে দোকান ফেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বাসার ভেতরে চলে গেলে বখাটেরা বাসায়ও হামলা চালায়। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে ক্যাশ থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় এবং প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হতে থাকলে দ্রুত পালিয়ে যায় বখাটেরা। পরে বখাটে হাসান মিয়াসহ ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা রুজু করেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী ছিদ্দিক খান।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর ভ’ইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।