ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নে পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী ভ’ইয়াকে সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক হাজী মিলন মিয়া (৬৭) ও তার ছেলেদের বেদম প্রহার করেছে। সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে হাজী মিলন মিয়ার বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন ও কায়েমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার আলম রনির লোকজন। এ ব্যাপারে কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন হাজী মিলন মিয়া।
থানায় পেশকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে পানিয়ারুপ বাড়ি থেকে তার মৎস্য প্রজেক্টে যাওয়ার পথে পানিয়ারুপ বাজার সংলগ্ন এলাকায় আসন্ন কায়েমপুর ইউপি নির্বাচনে পছন্দের চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মো.ইয়াকুব আলী ভুইয়ার মনোনয়ন পত্রে হাজী মিলন মিয়া সমর্থনকারী হওয়ায় পানিয়ারুপ গ্রামের মৃত রতন মিয়ার ছেলে মামুন মিয়ার নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী চক্র তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে হাড়ভাংগা রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় আক্রমনকারীরা তার বাড়িঘরেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীদের বাধা দিলে মিলন মিয়ার ছেলে রুহুল আমিন (৩০) কেও বেদম প্রহার করে হাড়ভাংগা রক্তাক্ত জখম করে। পরে লোকজন মিলন মিয়া ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মিলন মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আসামীরা হলো পানিয়ারুপ গ্রামের অন্তর হোসেন (২৮), খায়ের মিয়া (৩০), শান্ত (২২) ও কবির মিয়া (২৭)।
আহত মিলন মিয়া জানান; বর্তমান কায়েমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো.ইয়াকুব আলী ভুইয়াকে সমর্থন করায় প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার আলম রনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার দলের লোকজন দিয়ে আমাকে ও আমার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করেছে এবং আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার আলম রনি বলেন, আমি অন্য এক এলাকায় ছিলাম। স্থানীয় এক সাংবাদিকের মাধ্যমে মারধোরের খবর পেয়েছি। তিনি বলেন, নির্বাচন নয়। টাকার পয়সার দরবার নিয়ে মারধোর হয়েছে।
অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা আলমগীর ভুইয়া বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।