অস্থিরতা ও নৈরাজ্য এবং অনশন এখন যুক্ত হয়েছে আন্দোলনের নতুনত্বে। চারিদিকে নৈরাজ্য এবং অস্থিরতা বিরাজমান রাখার পায়তারা চলছে আর সেই ক্ষেত্রে অনশন নতুন করে আলোচনায় এবং সমালোচনায় মুখরিত হয়ে আছে সারা দেশে। তবে এই অনশনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেলেও এখন নতুনত্ব পেয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন হচ্ছে এবং হবে তবে ঐসকল আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে গেলেও তা আবার নতুন করে গণজোয়ারে পরিণত করতে একটি মহল প্ররোচনা ও জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা কি এবং কেন আর কখন ও কাদের জন্য তা অনুসন্ধান করা দরকার। অনুসন্ধানের নিঘূরে গিয়ে এর ভিত্তিমূলে আঘাত জরুরী হয়ে পড়েছে। অতিতের জাহাঙ্গীরনগর, কবি নজরুলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন এবং গণঅনশনসহ সকল ফলপ্রসু এবং ব্যর্থ আন্দোলনের যোগসূত্র খোজা দরকার আর সেই আলোকে অনুসন্ধানী ফলাফলের উপর ভিত্তি করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। তবে কেউ কেউ আন্দোলনে লাভবান আর কেউ কেউ আন্দোলনে ক্ষতির সঙ্গে আপোষ করে চলমান সরকারী কর্মকান্ডের গণজোয়ার অব্যাহত রাখতে স্বীকারেও পরিণত হয়েছে। বর্তমান আন্দোলন যা সিলেটে চলছে তার কারণ কি খতিয়ে দেখে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাধ্য এবং নিয়ম নিতি ও গুরুজন এমনকি শিক্ষকের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা বজায় রেখে সামনে এগুনোর পথ প্রসস্থ করা প্রয়োজন। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অধিকারী। তাই এখন থেকেই নিজেরা শিখুন এবং আগামীর জন্য প্রস্তুত হউন। ইট মারলে পাটকেল খেতে হয় তা হয়তো ভুলেন নি; তবে এই ক্ষেত্রে সৃষ্টিকর্তা বলেছেন “তুমি যা করতে চাও বা পেতে চাও তা আগে করে দেখাও। তাহলে তুমি পাবে”। সম্মান ও শ্রদ্ধা আগে করো এবং তারপর আশা করো, যা নিশ্চিত পাবে। ভাবুন; যদি আপনি হতেন ঐ উপাচার্য্য বা হলের দায়িত্বরত একজন তাহলে কি করতেন এবং কেমন হতো? যেহেতু ছাত্রদের আন্দোলন ও তিনদফা দাবির সবই পূরন হয়েছে এমনকি যাকে ঘীরে এই আন্দোলন সেই শিক্ষক পদত্যাগ করে আন্দোলনে পানি ঢেলেছেন কিন্তু আন্দোলনের মোড় গোরে এখন নতুন বাকে নি:স্বরিত হচ্ছে। আন্দোলনে উপাচায্যের ভুমিকা কি? তিনিই আটক হলেন আর প্রশাসন তাকে মুক্ত করলো, পুলিশ এবং ছাত্রদের সংঘর্ষ হলো কিন্তু নিরপরাধ উপাচায্য এখন শিল পাটায় ঘষাঘষি মরিচের জীবন শেষের পর্যায়ের স্বীকারে। আরো ভাবুন যে, শক্তের ভক্ত নরমের যম এই কথাটি উপাচায্যের ক্ষেত্রে প্রযোয্য হচ্ছে। কারন তিনি নিরিহ এবং তার কোন শক্তি নেই বরং রয়েছে ধৈয্য এবং ক্ষমা ও ভালবাসার অফুরন্ত যোগান। সেই কারণেই উপাচায্য অসহায় আর দায় স্বীকারে বাধ্য। তবে অপরদিকে পুলিশের রয়েছে ক্ষমতা এবং এর ব্যবহারের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত; তাই তাদের সহিত ছাত্রদের আপোষকামীতা এবং গোলাপ ফুলের উষ্ণ রঙ্গিন ভালবাসা প্রদর্শন। সবই ভাল তবে অতিরিক্ত ভাল যেন আগামীর জন্য দৃষ্টান্ত বা অশনী সংকেতে পরিণত না হয় তার দিকেও নজর রাখা জরুরী। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতি আজ কোথায়। শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান বোধ কোথায়, তা ফিরিয়ে আনুন এবং জাগ্রতকরণে কাজে নেমে পড়ুন। দেশী বিদেশী কোন ষড়যন্ত্রের বাতাস যেন ছাত্র-শিক্ষক আন্দেলনকে জোয়ারে ও রেওয়াজে বা রীতিতে পরিণত করতে না পারে সেইদিকে নজর দিন। চক্রান্তের শিকর যার দ্বারাই রচিত হউক তা উন্মোচন করে ঐ নৈরাজ্য ও অস্থিরতার ইতি টানুন। অযৌক্তিক দাবী অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের চাপে বা ভয়ে মেনে নেয়ার প্রবণতা থেকে বের হয়ে এসে যৌক্তিকতার পরখ করুন এবং অযৌক্তিক বা অপ্রয়োজনীয় দাবীর কাছে মাথা নত করার প্রবণতায় কুঠারাঘাত করুন এবং নতুন করে দৃষ্টান্ত স্থাপনে ভুমিকা রাখুন।
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে যে অস্থিরতা এবং নৈরাজ্য চলছে তা নিরসন করুন। নতুন করে আর কোন চক্রান্ত বা নৈরাজ্য সৃষ্টি না করার ক্ষেত্রে স্ব স্ব ভুমিকা বিচক্ষণতার সহিত পালন করুন। দেশীয় চক্রান্তকারীরা এখন বিদেশী চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে বিদেশী চক্রান্তের কষাঘাতে সরকারকে পরাস্ত করতে মরিয়া এবং এর রূপ আজ প্রকাশিত তবে ঐ প্রকাশিত রূপের রেশ টেনে ধরতে এখন কার্যকর বুদ্ধিভিত্তিক সূদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়নে স্ব স্ব ভুমিকা অব্যাহত রাখুন। দেশের ভাবমূর্তী রক্ষার্থে যত কঠোর ও কঠিন হওয়া প্রয়োজন তাই হউন এবং যেখানে প্রমানসাপেক্ষ সেখানে প্রমানসহ হাজির হউন। দেশে দল ও মতকে ঐক্যবদ্ধ করে সুসংগঠিত করুন। দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকের দুরত্ব ঘুচিয়ে নিন এবং ঐক্যের ভিত্তিমূল সুসংগঠিত করুন। দলের কান্ডারীদের বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়ে সমাধান দ্রুত সম্পন্ন করুন। দেশে ও বিদেশী যারা চক্রান্তে লিপ্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের স্বরূপ উন্মোচন ও প্রকাশ করে দেশে ও বিদেশে শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা উন্মুক্ত করুন। তবে যেখানে আইনি কোন বিধানে আবদ্ধ করা যাবে না সেখানে জনতার আদালতে প্রকাশ্যে এবং অপ্রকাশ্যে বিচার ও শাস্তি কার্যকর করুন। যাতে ঐ ষড়যন্ত্রকারীর শান্তি দেখে ভবিষ্যতে আর কেউ গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত না হয়। নারায়নগঞ্জ নির্বাচন একটি দৃষ্টান্ত সকলের জন্য তবে ষড়যন্ত্রকারীরা ঐ দৃষ্টান্তে বিভ্রান্ত হয়ে এখন পাগলের প্রলাপ বকে যাচ্ছে এবং সেই প্রলাপ দ্বারা নতুন ষড়যন্ত্র চালানোর পায়তারা করছে। তবে এখনই ঐ ষড়যন্ত্রের পায়তারা বন্ধ করে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখ বন্ধে বাস্তব ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া দরকার। কারণ আইন দ্বারা যদিও সম্ভব তবে ঐ আইনে অসম্ভবের রাস্তাই বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই আইনকে স্বচ্ছ করে বা কালো আইন নামে খ্যাত তথ্য প্রযুক্তি আইনকে বাতিল বা সংশোধন করে নতুনভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ইতিবাচক কৌশলী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে তবে ঐ আইনে অবশ্যই সরকার এবং বঙ্গবন্ধু পরিবার সংরক্ষিত ও সুরক্ষিত রাখতে হবে। আর ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোস প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্মোচন করে তাদের বিরুদ্ধে বুদ্ধিভিত্তিক ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখতে হবে তবে যুক্তি, বুদ্ধি, প্রমানসহ মিডিয়ার গণজোয়ার বা রোষানলে ফেলে মুলোৎপাটন করে ঐসকল নেতিবাচক ষড়যন্ত্রের পরিসমাপ্তি টানতে হবে। মিডিয়াগুলোকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার ব্যবস্থা করে নেতিবাচক সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে। মিডিয়ার ক্ষেত্রে যারা দেশীয় এবং সরকার বিরোধী চক্রান্তে যুক্ত তাদেরকে চিহ্নিত করে প্রতিহতের ডাক দিয়ে সকলদিক দিয়ে ঝাপিয়ে পড়ুন যাতে মুখ দেখাতে না পেরে এমনকি জনতার রোষানলে পড়ে সংশোধন এমনকি লসের ঘানি টেনে পরিসমাপ্তির ইতি টানেন।
একটি বিষয় না লিখলে বিবেকের দ্বায়বদ্ধতা জলাবদ্ধতায় পরিণত হবে। তবে এই বিষয়টি হলো গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি। গ্যাস এই দেশীয় সম্পদ এবং এই সম্পদ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হউন এবং স্বাচ্ছন্দে সকলের জন্য ব্যবহার পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করুন। রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি কতটা যুক্তিসঙ্গত বা যৌক্তিক তা খতিয়ে দেখতে হবে। যদি এই সময়ে গ্যাসের দর বৃদ্ধি করা হয় তাহলে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে আর নৈরাজ্যকারীরা সফলতায় পর্যবসীত হবে এবং সরকারের লোকজনই সরকার বিমুখ হয়ে পড়বে। ঘরে ঘরে জরিপ চালিয়ে এর সত্যতা নিশ্চিত করুন এবং তারপর গ্যাসের দর বৃদ্ধিতে মনযোগ দিয়ে জনআকাঙ্খা পূরনে মনোনিবেশ করুন। কারো প্ররোচনায় এমনকি লোভনিয় প্রস্তাবের ফাঁদে পা দিয়ে নিজের সর্বনাশ করা থেকে বিরত থাকুন। সাধারণ ও মধ্যবিত্ত/নিম্নমধ্যবৃত্ত অথবা গরীব মানুষদের জন্য বিবেচনাবোধ জাগ্রত রাখুন। রান্নার জালানি বৃদ্ধি রহিতকরণে কাজ করুন। মোটা ডাল ও মোটা চাল গরিবের খাবার তাই এইসকল খাবারে মুল্যবৃদ্ধি রহিতকরণে মনযোগী হউন। সরকারের লোকজন আজ সৎপথে জীবনযাপনে চতুস্মুখী চাপে নিমজ্জ্বিত আর এতে উর্ধ্বগতির বাজারে অনেকেই সরকার বিমুখ হয়ে রক্তে মিশা নিজ সরকার ও দলের সমালোচনা করে যাচ্ছে তাই সবিনয় অনুরোধ নিজেদের পরিচর্যায় মনোনিবেশ করুন নতুবা আগামীর অশনি সংকেত হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এইমিতেই ষড়যন্ত্রের শেষ নেই আবার নিজের ঘরের মানুষ যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফলতায় পর্যবসীত হবে। আসা যাক সৃষ্টিকর্তার কথায় “তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করো”। হ্যা আমরা আমাদের প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করতে চর্চা চালিয়ে যায় এবং সৃষ্টিকর্তার সাহায্য নিয়ে সেই মহব্বতের যাত্রা অব্যাহত রেখে পরিপূর্ণতা পাই।
চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এই পর্যন্ত দেখা ও শেখা এবং ফলাফল বিশ্লেষনে বলা যায় যে, আমরা আমাদের শরীরের মাংস চিবিয়ে খাচ্ছি। বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকগণই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন কেউ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন আবার কেউ না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আবার কোন কোন এলাকায় দলীয় মার্কা ছাড়া উন্মুক্ত নির্বাচন দিয়ে নেতা নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠ হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে। এই ক্ষেত্রে শতভাগের নিশ্চয়তাটুকু কখনো দেয়া যাবে আবার কখনো দেয়া যাবে না কিন্তু এইবারের নির্বাচন হচ্ছে ইভিএমে যা শতভাগ সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ বলে দাবী করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে আমার কথা হলো বা অনুরোধ রইল আপনাদের প্রতি; এই নির্বাচনগুলোতে নিজেরা আর নিজেদেরকে অসম্মানীত করবেন না। শ্রদ্ধা, সম্মান, দলীয় ঐক্যের শৃঙ্খলা ও সৌহাদ্যপূর্ণ সহাবস্থান বিরাজমান রাখা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের পূর্বে আপনারা একই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও কর্মী ছিলেন আবার নির্বাচনের পরেও ঐ একই দলেই আপনাদের সহাবস্থান হবে। তাহলে এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহুধাবিভক্তির কারণে বা উপকরণের ক্ষেত্রগুলোকে চিহ্নিত করে এখনই সতর্ক হওন এবং সজাগ থাকুন। দলীয় কোন্দল ও বিভক্তি রোধে প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে কাজ করুন। গোষ্টি বিভেদ এবং সামাজিক ও দলিয় বিশৃঙ্খলা রোধে স্ব স্ব ভুমিকা রাখুন। একই দলের এবং এলাকার লোক এমনকি বাসিন্দা হয়ে কেউ কারো চক্ষুশোলে পরিণত হবেন না। ইতিমধ্যে হয়েছেন এবং এর ফল আগামীর জন্য অকল্যাণকরই বটে। জয়ের নেশা ক্ষোভ ও বিভক্তি এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ বিভেধ সৃষ্টি করে যা নির্বাচন পরবর্তীতেও মননে ধারণ করে বিশৃঙ্খলা বিরাজমান রেখে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আর নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা ভোগে বাধাস্বরূপ কাজ করে। এখন সময় দলের ঐক্যবদ্ধ জাগরণ আর এখনই সময় দলের ও সরকারের যুগৎপদ এগিয়ে যাওয়ার কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাধা হলো দলীয় বিভেদ এবং বহুধাবিভক্তি। এই নির্বাচন কিন্তু ঐক্যবদ্ধ অবস্থার পুন:জাগরন হওয়ার কিন্তু হচ্ছে বিপরীত। যাই হউক আপনারা সবাই সুবিবেচনায় বিষয়গুলো নিয়ে আগামীর প্রয়োজন একসঙ্গে মোকাবিলা করা এবং একসঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সুহৃদ সুসম্পর্ক বিরাজমান রাখা এমনকি সম্পর্কের উন্নতিতে উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের অশুভ চক্রান্তকে মোকাবিলা করে দেশকে সামনে এগিয়ে নেয়ার কারিঘরদের সহযোগীতা করার ক্ষেত্রে সার্বজনীন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কাজে বাধা অপসারনে ভুমিকা রাখুন। জয়-পরাজয় হিংসা-বিদ্দেষকে পিছনে ফেলে দলীয় ঐক্য এবং সামাজিক ও পারিবারিক সম্প্রীতি সুসম্পন্ন এবং সমুজ্জ্বল রাখায় ঐক্যমত্যে পৌছে নতুন করে নব জাগরণে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজমান রাখাই একমাত্র কাম্যে পরিণত হউক। অস্থিরতা, নৈরাজ্য আর অনশন নামক শব্দগুলো আমাদেরকে ঘ্রাস না করুক বরং ঐ শব্দগুলোকে এবং এদেরন বিরাজমান কর্মকান্ডগুলোকে চিহ্নিত করে পরিবার, সমাজ ও চিন্তা-চেতনা এমনকি দলীয় কর্মকান্ড থেকে বিতারিত করার সকল ব্যবস্থা জাগ্রত রাখুন। আল্লাহর উপর ভরসা ও বিশ্বাস রাখুন। তিনি আপনাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং তাঁর দেয়া সকল আশির্বাদ অব্যাহত রাখবেন। সৃষ্টিকর্তার সুরক্ষায় নিজেদেরকে সুরক্ষিত করুন। লোভ লালসার উদ্ধে উঠে সৃষ্টিকর্তার দেয়া জ্ঞান ও গুন এবং সকল উপহার সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মানে সৃষ্টির কল্যানে ব্যবহার করুন। জয় এবং প্রশান্তি নিশ্চিতভাবেই আপনার সঙ্গে থাকবে এবং তা জনতা ও সৃষ্টি উপভোগ করবে। আগামীর ভাবনায় সৃষ্টিকর্তাকে প্রাধান্য দিন এবং তৎপরবর্তীতে সকল কর্মকান্ডকে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায়ে তরান্বিত করুন। সকল মঙ্গল এবং সম্বৃদ্ধি আপনার সঙ্গেই এগিয়ে যাবে মানবতার কল্যাণে। আসুন আমারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে যুক্ত থেকে আগামীর সকল কল্যাণ সাধন করি এবং অকল্যাণকে বিতারিত করি।