প্রশান্তি ডেক্স ॥ বরাবরের মত এবারও একুশে ফেব্রুয়ারীতে করোনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ছোবলাক্রান্ত ছিল। একুশে ফেব্রুয়ারী এবং আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উদযাপনে উৎসাহ ও উদ্ধিপনার কমতি ছিল। তবে সর্বসাধারণের আবেগ ও বিবেকের ধংশনের কমতি ছিল না। শুধু কমতি ছিল প্রাতিষ্ঠানিক উৎযাপন ও স্মৃতিরোমন্থনের আয়োজন এবং বরাবরের মত প্রভাত ফ্রি এমনকি সেদিনের স্মরণে গাওয়া গানগুলি পাড়া, গলি, অলি -মোড়, স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কমতি ছিল। যা আমাদের আগামীর জন্য ক্ষতির। যে স্মৃতিগুলোকে হাতড়িয়েই আমাদের ইতিহাস- ঐতিহ্য এবং সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় হয়েছে এবং আগামীতে হবে সেইখানেই ছোবল! তাই এই বিষয়গুলো আমাদেরকে এমনকি জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে।
একুশে ফেব্রুয়ারী আমরা শৈশব থেকে শিখে এবং দেখে এসেছি যা; তা আজ বিলিনের পথে তবে মাঝে মাঝে নতুন ফরমেটও দৃষ্টিগোচর হয়। জুতা নিয়ে প্রভাত ফ্রি, জুতা নিয়ে শহীদ বেদীতে ফুল, মালা দিতে যাওয়া, সুর্য উদয়ের সময়ের প্রভাত ফ্রি সকাল ৯-১০টায় উদযাপন করা। এই রীতি-নিতি গুলোকে সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে পালনের জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। যারা নিতি নির্ধারক, চিন্তা ও পরিকল্পনা আনয়নকরী বা প্রণয়নকারী, আর যারা বাস্তবায়নের আদেশ দানকারী এমনকি বাস্তবায়নকারীদের সকলের প্রতি সবিনয় আবেদন ও নিবেদন এই সকল বিষগুলো সদয় বিবেচনায় নিয়ে একটি নির্দেশনা প্রদান করার ব্যবস্থা আশু সম্পাদন করুন।
একুশে ফেব্রুয়ারী, ভাষা দিবস, ৮ই ফালগুন, আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস, আত্মত্যাগের, বিসর্জনে অর্জিত এই অর্জনকে সঠিকতায় ইতিহাস ও ঐতিহ্যে নির্ভরতায় নিখুতভাবে পালন করার সার্বজনিন ব্যবস্থা করুন। একুশ: আমার, আপনার সকলের মনিকোঠায় হেফাজতে থেকে জাতিকে প্রেরণা যুগিয়ে চেতনায় উদ্ভুদ্ধকরণে এগিয়ে নিয়ে যাক আগামীর সকল ইতিবাচক কর্মকান্ডে। চলমান উন্নয়নে একুশের চেতনার উম্মেষ প্রকাশিত ও প্রচারিত থাকুক এই ভাবনায় জাতি আজ ঐকব্যদ্য হয়ে একুশ বিরোধীদের একুশের রাজ্য থেকে বিতারিতের সকল জাগ্রত ব্যবস্থা উন্মোচনে অবধান রাখুক।