ভজন শংকর আচার্য্য কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাটি এবং বালি পরিবহনকারী ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ।এই করনা মহামারীর লকডাউন সময়েও তারা থেমে নেই। কসবা উপজেলায় দিন রাত ২৪ ঘন্টা এই অবৈধ যানবাহন চলাচল করে আসছে। এদের বেপরোয়া গতিতে চলার কারনে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এছাড়া এগুলোর বিকট শব্দের কারনে ঘটছে শব্দদূষণও। রাতের বেলা ঘুমানো দায়। ফলে পথচারীসহ জন সাধারণকে সার্বক্ষনিক আতংকের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। অনবরত মাটি বহন করায় একদিকে রাস্তা চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আর কমে যাচ্ছে রাস্তার দীর্ঘস্থায়ীত্ব। অপরদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে। উপজেলায় প্রতিদিন চারশত ট্রাক্টর বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে অবাধে চলাচল করছে।
অবৈধ ট্রাক্টর চলাচলের কারণে রাস্তার বেহাল দশা এসব যান দিয়ে সাধারণত হালচাষ ও নিয়ম মোতাবেক কৃষি জমিতে চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার নিয়ম। বাংলাদেশ মোটরযান আইনে পাকা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনের তালিকায় এর কোনো অস্তিত্ব নেই। বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র কৃষি কাজে ব্যাবহারের জন্য এই সব যান আমদানির অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটার মালিক,কাঠ ব্যাবসায়ি,পাথর ব্যাবসায়ি, মাটি ও বালু ব্যাবসায়ি অবৈধ ভাবে এই ট্রাক্টর ব্যাবহার করে আসছে।
বাংলাদেশে ব্যাটারীচালিত হালকা যানবাহনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স লাগলেও, কৃষি ক্ষেত্রে ট্রাক্টর কিংবা এর চালকের কোন লাইসেন্স লাগে না। এই সুযোগে এলাকার শিশু কিংবা কিশোররাও অদক্ষভাবে এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে, ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। ডা রিপন মিয়া বলেন, ধুলাবালিযুক্ত রাস্তায় চলাচলের দ্বারা বাচ্চাদের নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও এই ধুলাবালি নাশিকা দিয়ে প্রবেশ করায় জনসাধারণের মাঝে শ্বাসকষ্ট রোগ সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইশান নগর মোড়ের বাসিন্দা মোবারক হোসেন গণকন্ঠ বলেন, এখানে আমরা খুব অসুবিধায় আছি,ট্রাক্টর চলাচলের ফলে রাতে ঘুমাতে পারিনা। সরকার ২০১০ সালে সারাদেশে রাস্তায় চলাচল কারি সব ধরনের ট্রলি বা ট্রাক্টর অবৈধ ঘোষনা করে। এবং এইসব যান আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ও নিদের্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। কিন্তু সরকারের এই নিদের্শনাকে মানা হচ্ছে না । কসবা উপজেলা বাসির চাওয়া, উপজেলা প্রশাসন যেন রাস্তা রক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন বন্ধে দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহন করে।