আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ ইউক্রেনের মানবিক করিডোরগুলোতে অতি দরকারি মানবিক সহায়তার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। তুরস্কের আনতালিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন, ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো বিশ্বাস করি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক আলাপে এই সংকটের সমাধান হবে। তবে আপাতত মানবিক করিডোরগুলোতে যাতেন মানিবক সহায়তা পৌঁছাতে পারে দুই পক্ষকেই সেই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ন্যাটো ইউক্রেনে সেনা অথবা যুদ্ধ বিমান কোনোটাই পাঠাবে না। কারণ এতে রাশিয়া ও ন্যাটোভূক্ত ৩০ সদস্যের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। এদিকে মার্কিন মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা ম্যাক্সার স্যাটেলাইট ছবির বরাতে সপ্তাহখানেক আগে এক হাঁড় কাঁপানো খবর দিয়েছিল। জানিয়েছিল প্রায় ৪০ মাইল লম্বা রুশ সেনাবহর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে আগাচ্ছে। গত শুক্রবার ম্যাক্সার আবারও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তোল স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে , ৪০ মাইল দীর্ঘ এই সাঁজোয়া সেনাবহর নিজেদের মধ্যে আবার পুনর্বিন্যাস করে নিচ্ছে।
এক মার্কিন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী কিয়েভের দিকে আরও পাঁচ কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। এখন তারা কিয়েভের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে আছে। এছাড়াও রাশিয়ার আরও একটি সেনাবহর কিয়েভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে আছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা। তার দাবি, চারিদিক থেকে এমন সেনাবহর পাঠানোর মানে হচ্ছে, রাশিয়া কিয়েভ পুরোপুরিভাবে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়। এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ দিনে দেশটি থেকে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছে ২৫ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার অনান্য দেশের নাগরিকও রয়েছেন। গত শুক্রবার জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা-আইওএম এ তথ্য জানিয়েছে। এক টুইটে সংস্থাটি জানায়, ‘ইউক্রেন থেকে নানা দেশে আশ্রয় নেয়া এসব মানুষদের জরুরি মানবিক সহয়তা দেওয়া দরকার। এছাড়াও আরও এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশের ভেতরেই উদ্বাস্তুর জীবন পার করছে ইউক্রেনের প্রায় ২০ লাখ মানুষ।
সূত্র: আল জাজিরা