শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি ॥ বাগেরহাটের শরণখোলার সুন্দরবনসংলগ্ন মধ্য সোনাতলা গ্রাম থেকে দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার হয়েছে। গত ক্রবার বিকেল ৩টার দিকে সুমন মুন্সীর বসতঘরের মাচা থেকে চামড়া দুটি উদ্ধার করেন বনরক্ষীরা। তবে, বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন অভিযুক্ত সুমনের পরিবার। তাঁরা বলছেন, প্রতিবেশী সোহাগ মল্লিকের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছে। তাঁরাই ষড়যন্ত্র করে গোপনে তাঁদের ঘরে চামড়া দুটি রেখে গেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আসাদুজ্জামান জানান, হরিণের চামড়া রাখার গোপন সংবাদ পেয়ে মৃত ছোমেদ মুন্সীর ছেলে সুমন মুন্সীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাঁর বসতঘরের মাচার ওপরে হরিণের চামড়া দুটি ভাঁজ করা অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযুক্ত সুমনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
সুমনের পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে এসও আসাদুজ্জামান আরো জানান, সুমন মুন্সীর বাড়িতে গিয়ে তার বসতঘর তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। পরে স্থানীয় মহিলা মেম্বরের মাধ্যমে তাঁর মাকে ডেকে এনে তালা খুলে ঘর তল্লাশি করে চামড়া উদ্ধার করা হয়। চামড়া দুটি যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেখানে বাইরের কারো পক্ষে রেখে যাওয়া অসম্ভব। সুমনের বিরুদ্ধে সুন্দরবনে মৎস্য আহরণের আড়ালে হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বরিুদ্ধে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শুকনো চামড়া দুটির একটির দৈর্ঘ্য ৩ ফুট ৪ ইঞ্চি, প্রস্থ ১ ফুট ১১ ইঞ্চি এবং অপরটির দৈর্ঘ্য ২ ফুট ১০ ইঞ্চি, প্রস্থ ১ ফুট ৭ ইঞ্চি বলে জানান ওই বন কর্মকর্তা। এদিকে, সুমন মুন্সীর মা রোকেয়া বেগম জানান, তাঁর ছেলে দুই দিন আগে সুন্দরবনে গোলপাতা কাটতে গেছে। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না। প্রতিবেশী মৃত রুস্তম মল্লিকের ছেলে সোহাগ মল্লিক তাঁর ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য গোপনে তাঁদের ঘরের পেছনের ফাঁকা দিয়ৈ চামড়া রেখে যায়। দুপুরে (গত শুক্রবার) সোহাগ মল্লিককে তাঁদের বাড়ির বাগানে ঘুরতে দেখেন তাঁরা। এর পর বিকেলে ফরেস্টাররা তাঁদের বাড়িতে আসে। তিনি ছেলের ন্যায বিচার দাবি করেছেন বন বিভাগের কাছে।