উত্তাল মার্চের দেয়া ভাষণ এখন স্বাধীনতার ডাক এবং স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষায় টনিক হিসেবে কাজ করেছিল এবং কাজ করে যাচ্ছে। আজো দেশ সেই দেখানো এবং শেখানো পাথেই অগ্রগতির শিখরে পৌঁছাতে গতিময়তা নিয়ে এগুচ্ছে। তবে এই এগিয়ে যাওয়াকে বাধাগ্রস্তু করতে এমন কোন ব্যবস্থা ও সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা বাকি রাখেনি ষঢ়যন্ত্রকারীরা। আজো তারা সংঘবদ্ধ এবং জোরালো প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে এবং এগিয়ে যাওয়ার গতিময়তাকে সুরক্ষা দিয়ে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের সামনে এখন এর বিকল্প কিছু নেই। রাজনৈতিক, ব্যবসায়ীক, সামাজিক, ধর্মীয় এবং পারিবারিকসহ সকল ক্ষেত্রেই আমাদেরকে চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে। স্বাধীনতার মাসের ত্যাগ, তিতিক্ষা, অর্জন ও বিসর্জন এমনকি দুরদর্শী চিন্তা ও পরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ আগামীর কল্যাণে নিরলস পরিশ্রমের ফসল ঘরে তোলার লক্ষ্যে সকলকিছু কার্যে পরিণত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সকল কর্মকান্ডকে নিশ্চয়তার সহিত এগিয়ে যেতে হবে; প্রতিজ্ঞা এবং এর বাস্তবায়ন ও পরিপালন করে এগিয়ে যেতে হবে।
করোনা এবং যুদ্ধ এই দুইয়ে পৃথিবী এখন নাকাল। এই সময় আমাদের করণীয় ঠিক করতে কি কি করা উচিত তা নিয়ে কাজ করে করনীয় এখনই ঠিক করতে হবে। বিশ্ব ব্যবস্থা যখন গুণে ধরে এবং পচনোম্মুখ অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে সেই অবস্থার ইতিবাচক উন্নতিকল্পে নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধন এবং মানবিক গুনাবলীর জাগ্রত বিভেক কাজে লাগানো ও স্থিতি এবং শান্তি বজায় রাখার কাজে নিয়োজিত হওয়া জরুরী। তবে খাদ্য, বস্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিত্য প্রয়োজনীয় যোগান দিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনে আরো মনোযোগী ও যত্নশীল হওয়া উচিত। এই ক্ষেত্রে স্বার্থহীন বা নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধন জাগ্রত রাখা উচিত। লোভ ও লাভ এবং ক্ষমতার দম্ভ যেভাবে আজকের বিশ্বকে পুড়িয়ে দ্বগ্ধ করে নি:শেষ করে দিচ্ছে তার থেকে মুক্তির বার্তা নিয়ে হাজির হওয়ার সুযোগ ও উপযুক্ত সময় এখন। লোভ-ক্রোধ ও ক্ষমতার দ্বন্ধে নি:চ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে মানবতা এবং এই মানবতার মুলে কিন্তু রয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত। সৃষ্টিকর্তা যাদেরকে নিয়োজিত করেছেন বা মনোনীত করেছেন অথবা অভিষিক্ত করেছেন তারা আজ কোথায়? কোথায় তাদের কাজের ফল? কেন তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার ব্যবহার পৃথিবীতে বিরাজমান রাখছেন না? কি কি নির্দেশনা আজকের এই বিরাজমান অশান্তির নিরসনকল্পে? তা উন্মোচন করার জন্য আজকে সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে সফলতা এবং শান্তির বাতায়ন পুনপ্রতিষ্ঠিত করতে কাজের সুচনা এবং ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ ও সময় অতিক্রান্ত হচ্ছে।
এই ধ্বংসযজ্ঞের স্বীকারে পরিণত হওয়া নিরিহ জনগণ ও প্রাণীকুল এবং সম্পদসংকুলকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। শয়তান এবং এর দোসরদের উদ্দেশ্য চরিতার্থে বাধাস্বরূপ কাজ করতে হবে তবে তা যুদ্ধ নয় শান্তির আহবানে, ক্ষমার আহবানে, ভালবাসার আহবানে, নিশ্চয়তার আহবানে। লোভ ও ক্রোধ এবং ঘৃণা এমনকি ক্ষমতার আবরণে নয়। যারা আজ এই যুদ্ধময় আবস্থার জন্য দায়ী তাদেরকে সচেতন করে ক্ষমা ও ভালবাসায় এবং জিবনের নিশ্চিত নিশ্চয়তায় ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে। তবে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য এবং তাঁর স্পর্শ ও আশ্চয্য কাজের মাধ্যমেই আজ তা সম্ভব। এই সকল কাজের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ঘরে নয় বাইরে এসে কাজ চলমান রাখতে হবে। তবেই সম্ভব সকল নৈরাজ্যের আবসান। হযরত মূসা আ: এর শিক্ষাকে দৃষ্টান্ত হিসেবে পুনজাগরণ ঘটিয়ে দিকহারা জাতিকে উদ্ধার করতে হবে। হযরত নূ আ: এর মাধ্যমে যেভাবে রক্ষা করা হয়েছিল পৃথিবীর সৃষ্টিকুলকে সেইভাবেই এখন ছাকনি দিয়ে ছেকে রক্ষা করতে হবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বস্ত, আনুগত্য, বাধ্য, নম্র এবং ইতিবাচক মনোভাবে পুর্ণ সকল সৃষ্টিকূলকে। কারণ সৃষ্টিকর্তা নিজে তাঁর বাক্যে এই পরিস্থিতির কথা বলে এবং চেতনায় ও উপলব্দিতে বুঝিয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে আগামীর করনীয়তে কাজ করে যাচ্ছেন। এখানেই আমাদের বিশ্বাস ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আর চিন্তা এবং কর্ম এমনকি মোনাজাত অব্যাহত রাখার দৃষ্টান্ত উন্মোচন করে জাগ্রত রাখতে সকল কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।
সকল ভয় ও শঙ্কার উদ্ধে উঠে এসে জিবনের শেষ সময়ে সৃষ্টিকর্তার সৈনিক হয়ে বা প্রতিনিধি হয়ে অথবা সঙ্গি হয়ে সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় পূর্ণ করতে কাজ করুন। পৃথিবীর এই ছটফটানিতে নিজেরা নিজেদের ইচ্ছায় নয় বরং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পূর্ণ হয়ে কাজে নেমে পড়ুন। আমি এবং আপনি উভয়েই অসহায় কিন্তু সৃষ্টিকর্তাতে সহায়। আমার এবং আপনার দ্বারা সবই অসম্ভব কিন্তু সৃষ্টিকর্তাতে সম্ভব। তাই সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে থেকে সকল অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করুন। পৃথিবীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তা বিধান সুনিশ্চিত করুন। সৃষ্টিকর্তার কথায় সতর্ক হউন “হে আসমান এ দেখে হতভম্ব হও, আমার বান্দারা দুটো গুনাহ করেছে- একটি জীবনদায়ী যে ঝড়না সেই আমাকেই তারা ত্যাগ করেছে আর অন্যটি তারা নিজেদের প্রয়োজনে পানি ও সম্পদ জমা করছে যা ফুটো বা অন্যের গোপন প্রবেশাধিকারে ফুরিয়ে যাচ্ছে আর এতে তারা দিশেহারা হয়ে এদিক সেদিক ছুটছে।” আর অপরদিকে আমাদের উদ্দেশ্যে তিনি এও বলেছেন “ তোমাদের জন্য আমার পরিকল্পনার কথা আমিই জানি, আর সেই পরিকল্পনা তোমাদের মঙ্গলের জন্য; ক্ষতির জন্য নয়, বরং সেই পরিকল্পনার মধ্যদিয়েই তোমাদের ভবিষ্যতের আশা পূর্ণ হবে।” হ্যা আমরা যেন সৃষ্টিকর্তার সতর্ককতায় সতর্ক হয় আর সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনার মাধ্যমে ভবিষ্যতের ইচ্ছা পূর্ণ করতে প্রস্তুত থাকি। এই শিক্ষা ও দিক্ষায় জিবন, যৌবন এবং সম্পদ (ইহকাল ও পরকাল) সঞ্চয় করতে সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে থেকে শেষ নি:শ্বাস অবদি কার্যকর থাকি। আল্লাহ আমাদের সকলকে এই বিশ্বময় ছটফটানি থেকে মুক্ত করুন এবং রাখুন।