ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ॥ বসন্তের অর্ধেক শেষ হলেও মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার লিচু বাগান গুলো। চারদিকে মুকুলে থাকা মধুর ঘ্রাণে স্বর্গীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কৃষকের পরিচর্যার সাথে লিচুর বাগানে বেড়েছে মৌয়ালদের ব্যস্ততা কসবা উপজেলায় লিচু গাছগুলোতে মৌসুম শুরুর আগেই মুকুল আসতে শুরুি করেছে। নানা ফুলের সাথে সৌরভ ছড়াচ্ছে লিচুর মুকুল, মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।
লিচুর মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে মৌমাছিদের। এবার সময়ের আগেই সোনালি মুকুলে ভরে গেছে কসবা উপজেলার লিচু বাগানগুলো। তাই দখিনা বাতাসে দোল খাচ্ছে চাষির স্বপ্ন। গাছে গাছে ঝুলছে মুকুল। মৌমাছিরাও গুন গুন করে দোল খাচ্ছে লিচুর বাগানগুলোতে। পৌষের আমন্ত্রণে আগাম মুকুল মাঘকে স্বাগত জানিয়ে এসেছে ফাল্গুন। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনে জ্বালিয়েছে আশার আলো
বিভিন্ন এলাকার কয়েকটি লিচুর বাগান ঘুরে দেখা যায়, গাছে গাছে নানা ফুলের সাথে মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ আকাশে বাতাসে মৌ মৌ গন্ধে মাতোয়ারা করে তুলেছে পুরো এলাকা। থোকায় থোকায় হলুদ রঙের মুকুলে গাছগুলো ছেয়ে গেছে। বাগানের মালিকেরা ফলন ভালো পেতে ছত্রাক নাশক ঔষধ প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ততার সময় পার করছেন। কসবায় মাদ্রাজি, বেদানা, বোম্বাই ও চায়না জাতের লিচুর উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের রামপুরের লিচু চাষি শাহেদ হোসেন জানান, লিচু বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমানে লিচুর মুকুল এসেছে, কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এলে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম জানান,কসবায় লিচুর খ্যাতি রয়েছে উৎপাদনও ভালো ও লিচু গাছে মুকুল দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া ঠিক থাকলে এ বছর কসবায় লিচুর বাম্পার ফলন হবে।