প্রশান্তি ডেক্স ॥ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশের সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি, জুলুম, নির্যাতন বেড়ে গেছে। তাই শ্রমিক, মজুর মুটে যে-ই হোক, অধিকার আদায়ে রাস্তায় থাকা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সরকারের দুর্নীতির কারণে আজকে শ্রমিকের প্লেটে খাবার নেই। কৃষকের খাবার জোটে না।
অবহেলিতরা ঘুরে দাঁড়ালে দেশের মানচিত্র ছোট হয়ে যাবে। গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত গার্মেন্টস শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, দুই বছর পর আপনি বেরিয়েছেন। আপনাকে আহ্বান করছি, অনুগ্রহ করে যেকোনো একটা শ্রমিকের বাড়িতে যান। তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন, কতটুকু খাবার আছে। আজকে শ্রমিকের যদি খাবার না জোটে, কল-কারখানা টিকে থাকবে না, দেশ টিকে থাকবে না। আজকে যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে, তবে এই দেশ মানচিত্রে সীমিত হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি কি লক্ষ করেছেন আপনার দুঃশাসন, অপশাসনে আপনাকে লুকিয়ে রাখায় কী হয়েছে। আট হাজার কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অপরদিকে দরিদ্র মানুষের হাহাকার হু হু করে বাড়ছে।
আবার দেশে কুইক রেন্টাল রিনিউ করতে যাচ্ছেন। সর্বনাশ করবেন না। এই কুইক রেন্টালের যে টাকা তাদের পকেটে দেবেন, তার এক-পঞ্চমাংশ টাকা যদি কৃষক-শ্রমিককে দেন, দেশ খাদ্যে ¯য়ংসম্পূর্ণ হবে। বাজারদর কমবে। জনগণ কলকারখানায় হাসিমুখে কাজ করবে। শ্রমিক না বাঁচলে, কৃষক না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না, আপনিও বাঁচবেন না। তিনি বলেন, সব কিছুকেই বঙ্গবন্ধুর কাঁধে দিয়ে দেওয়াটা সব থেকে ভুল কাজ হবে। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন সবাই মিলে। তাজউদ্দীন, ওসমানী, ভাসানী, বাম শক্তিরা প্রত্যেকটা লোক আজকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে বলেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। মানববন্ধনে মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অন্যরা।