প্রশান্তি ডেক্স ॥ দক্ষিণের অবহেলিত জেলা পটুয়াখালীর উপকূলবর্তী পায়রা ও ‘সাগরকন্যা’খ্যাত কুয়াকাটা রূপান্তরিত হয়ে রূপকথার মতো দেশের অর্থনীতির বাঁকবদলে চালকের আসনে জায়গা করে নিচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে যোগাযোগ অবকাঠামো-বঞ্চিত দক্ষিণাঞ্চল ঘিরে সরকারের উচ্চাভিলাষী রেল ও সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারত, চীন, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে এ অঞ্চল।
পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকা ও দেশের বাকি অংশের সঙ্গে সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করে এবং একইভাবে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই অঞ্চলটিকে দেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক করিডোর হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ফলে আঞ্চলিক পণ্য-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ও সমুদ্রপথে সিল্ক রুটের ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে পায়রার।
দেশের বৃহত্তম কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে পায়রায়। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে গোপালগঞ্জ গ্রিড পর্যন্ত ১৬৩ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। আর গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার আমিনবাজার পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে, যা এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ সম্পন্ন হবে। ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সাগর ও নদী বেষ্টিত পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন চরে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে এই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ২৫ হাজার ৩৫৮ পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে দেশের শতভাগ এলাকায় বিদ্যুতায়নের সাফল্য অর্জন করছে সরকার।
১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে ১ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২১ মার্চ) আনুষ্ঠানিকভাবে ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার গ্রিডে যুক্ত হবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ।
গত রোববার বিকেলে পায়রা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘এটা সবার জন্যই চ্যালেঞ্জ ছিল। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো এই প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের আগেই সম্পন্ন হয়েছে এবং এতে ১০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। এই কারণেই এই প্রকল্পটি নানাভাবে অনন্য।’ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিগত ৫০ বছরে এত বড় এবং অত্যাধুনিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেনি। তিনি আরও জানান, পায়রা এশিয়ার তৃতীয় ও বিশ্বের এগারোতম বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করবে।
এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহ করতে পায়রা বন্দরে দুটি কয়লা/বাল্ক টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় আরেকটি কয়লা টার্মিনাল নির্মাণের কথা থাকলেও গত মাসে তা বাতিল করেছে অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এছাড়া ভোলায় আবিষ্কৃত গ্যাস সরবরাহের এবং ভারতের আসাম রাজ্যের পরিশোধনাগার থেকে পাইপলাইন স্থাপন করে পায়রায় জ্বালানি তেল ও গ্যাস আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। লিকুইড বাল্ক টার্মিনাল ও এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ এবং জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার স্থাপনে সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজারের মাতারবাড়ির মতোই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি হাবে পরিণত হবে পায়রা। আগামী দুই দশকের মধ্যে উন্নত দেশে উত্তরণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং পায়রাকেন্দ্রিক বিনিয়োগ ও কুয়াকাটাকে আন্তর্জাতিক মানের ইকো-ট্যুরিজম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিমানবন্দর স্থাপনের পরিকল্পনাও করছে সরকার।
এছাড়া, প্রায় ৬ হাজার একর জমির উপর গড়ে ওঠা পায়রা বন্দর ঘিরে গার্মেন্টস শিল্প এলাকা স্থাপন, জাহাজ নির্মাণ ও মেরামত শিল্প, একটি কনেটইনার টার্মিনাল, ওষুধ শিল্প, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল এবং সার কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। ২০১৯ সালে আমদানি পণ্যবাহী একটি জাহাজ ভেড়ার মাধ্যমে পায়রা বন্দর আংশিক চালু হয়। গত দু-বছরে ১৭০টি বিদেশি সমুদ্রগামী জাহাজের পণ্য হ্যান্ডেলিং করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৬৫০ মিটারের আধুনিক মূল জেটি ও ৩ লাখ ২৫ হাজার বর্গমিটারের ব্যাকআপ ইয়ার্ডের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। টার্মিনাল পর্যন্ত ৬ লেনের সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বন্দরটি পুরোপুরি চালু হলে দেশের জিডিপি প্রায় ২ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করছে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন পায়রা বন্দর আগামী বছর পূর্ণাঙ্গ রূপ নেবে। পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে কার্যক্রম শুরু করলে দিনে ৫০টি জাহাজ চলাচল করতে পারবে পায়রা বন্দরে। সরকার আশা করছে, পায়রায় পোর্ট কনটেইনার হ্যান্ডেলিং খরচ দুই-তৃতীয়াংশ কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে পায়রা ও কুয়াকাটা ঘিরে পর্যটনভিত্তিক ২০ বছর মেয়াদি একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। এই মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আধুনিক পর্যটন স্থাপনা, পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অন্যতম প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠবে পায়রা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এলেও পায়রা বন্দর ঘিরে ঢাকাসহ দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন সম্প্রসারিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের চেয়ে অধিক গভীরতা থাকায় মাদার ভেসেল নোঙরের সুযোগ থাকছে পায়রাতে।
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা কোম্পানি বাংলা-চায়না পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য স্থান নির্ধারণ করেছেন। তিনটি নদীবেষ্টিত এই স্থানে কয়লা পরিবহন সহজ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের সুষম উন্নয়নে জোর দিয়েছেন। এই কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা নিশ্চিত করছেন। এই কেন্দ্র থেকে পরিবেশ দূষণের কোনো আশঙ্কা নেই দাবি করে তিনি বলেন, এ প্রকল্পে সর্বাআধুনিক আল্ট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘এতে প্রকল্প ব্যয় ৫-৭ শতাংশ বাড়তি হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা এটা করেছি।’ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রধান কারণ কম দামে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা। আগামী ২৫-৩০ বছর এই কেন্দ্র থেকে সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।
তবে চ্যালেঞ্জ হলো ৪০-৫০ হাজার টন কয়লাবাহী জাহাজ ভেড়ানো। এই সমস্যা সমাধানে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, ‘২০২৩-২৪ সালে এটি সম্ভব হবে।’ বর্তমানে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫৫০-৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ গোপালগঞ্জ সাবস্টেশনে যাচ্ছে। আর কিছু বিদ্যুৎ যাচ্ছে পটুয়াখালী সাবস্টেশনে। আগামী মাসে যশোর ও খুলনা সঞ্চালন লাইনে যুক্ত হবে। আর আগামী ডিসেম্বরে গোপালগঞ্জ-আমিনবাজার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ সম্পন্ন হলে এই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ঢাকায় যাবে। এই অঞ্চলের আর কোনো দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নেই জানিয়ে খোরশেদ আলম বলেন, এটা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। পায়রাতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার, যার বাস্তবায়ন অগ্রগতি এখন পর্যন্ত ২২ শতাংশ। ২০২৪ সালে ওই কেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানান খোরশেদ আলম।
দক্ষিণবঙ্গের রূপান্তর
যোগাযোগ সংকটের কারণে পটুয়াখালীসহ পুরো বরিশাল বিভাগ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে উত্তরাঞ্চলের বিভাগ রাজশাহী ও রংপুরের চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারির তথ্য অনুযায়ী, ওই বছর দেশে মোট অর্থনৈতিক স্থাপনা ছিল ৭৮ লাখের বেশি। এর মধ্যে তখনকার সাতটি বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে কম স্থাপনা ছিল সিলেট, বরিশাল ও খুলনায়। রংপুরে অর্থনৈতিক স্থাপনার সংখ্যা ছিল ১০ লাখের বেশি, কিন্তু বরিশালে ছিল প্রায় সাড়ে ৩ লাখ।
পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দর নির্মাণের কারণে বরিশাল বিভাগের সেই দৈন্য দশা কাটতে শুরু করেছে। গত কয়েক বছরে বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কে পায়রা সেতু, শেখ জামাল সেতু, শেখ কামাল সেতু ও শেখ রাসেল সেতু নির্মিত হয়েছে। চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকাসহ সারা দেশের সঙ্গে এই অঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও পায়রা বন্দরকেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনায় উৎসাহী হয়ে জাজিরা থেকে কুয়াকাটা, বরিশাল থেকে মোংলা, খুলনা পর্যন্ত বিনিয়োগের জন্য জমি কিনছে বড় বড় শিল্প গ্রুপগুলো। শিল্পগোষ্ঠীগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পযর্šÍ পণ্য পৌঁছাতে ৮-১০ ঘণ্টা সময় লাগে। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে পায়রা বন্দরে পণ্য পৌঁছাতে সময় লাগবে ৬ ঘণ্টার মতো। পরিবহন ব্যয়ও অনেক কমে যাবে। কেবল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নই নয়, ওই অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারগুলোর পুনর্বাসনেও কাজ করছে সরকার। মুজিববর্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভাসমান মান্তা সম্প্রদায়ের জন্য চর মন্তাজে ২৯টি গৃহ নির্মাণ করে তাদের পুনর্বাসন করা হয়েছে। এর আগে বংশ পরম্পরায় ভূমিহীন এই সম্প্রদায়ের জন্ম-মৃত্যু, জীবনযাপন সবই ছিল ছোট্ট নৌকায়।
কর্মকর্তারা জানান, পটুয়াখালীতে ৯৬টি ভাসমান মান্তা পরিবারকে পর্যায়ক্রমে ঘর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে আরও ৩১টি গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। চর মন্তাজে ঘর পাওয়া নয়ন তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, নৌকাতেই তার জন্ম। জীবনের ৭০ বছর কেটে গেছে নৌকার মধ্যেই। ‘এখন ঘর পেয়ে শান্তি পাইছি,’ বলেন তিনি। ঘর পাওনা রোকেয়া বেগম জানান, ‘নৌকা থেকে পোলাপাইন পানিতে পরে মারা যেত। ছোট শিশুদের পায়ে দড়ি বেঁধে নৌকায় রাখতে হতো। কোনো সময় ধরি বাঁধতে ভুলে গেলে পানিতে পড়ে মরে ভেসে উঠত। এখন আর সেই ভয় নেই।’
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন আল আহসান টিবিএসকে বলেন, ‘পায়রা বন্দর ও পদ্মা সেতু ঘিরে পটুয়াখালীসহ সমগ্র বরিশালে উন্নয়নের হাওয়া বইছে। এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। পটুয়াখালীতে ইকোনমিক জোনের জমি সিলেকশন হয়ে গেছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। বন্দর ভাইব্রেন্ট করতে এটি জরুরি। আর দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ইকোনমিক জোনের চাহিদাও অনেক। অনেক প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে জমি কিনে শিল্প প্রতিষ্ঠা করছে। পায়রায় একটি সোলার প্ল্যান্ট হবে। আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এলাকাটি জ্বালানি হাব হিসেবে গড়ে উঠবে।’ তিনি আরও জানান, ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ৪ লেন সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ চলছে। রেলের কাজও অচিরেই শুরু হবে। বরিশাল বিভাগের ইন্টারনাল সব রাস্তার উন্নয়নকাজ চলছে। কুয়াকাটাসহ আশপাশের এলাকা নিয়ে পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা হবে।
আগামী ৫ বছরেই পুরো দৃশ্যপট পাল্টে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।