ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর আওয়ামী লীগ ঘোষিত কমিটিকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। গতকাল শনিবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মো.আলাউদ্দিন বাবু নবগঠিত পৌর আওয়ামী লীগ কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে কসবা পৌর আওয়ামী লীগ কমিটির অনুমোদন পত্র প্রকাশ করেন। নবগঠিত কমিটির প্রচারপত্রে উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো.শফিকুল ইসলাম সরকারকে সভাপতি এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. রুস্তুম খাঁ কে সাধারন সম্পাদক হিসেবে ঘোষনা করা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল কসবা পৌর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কসবা টি.আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পৌর আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। ওই সভায় পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষনার জন্য আইনমন্ত্রীর উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়।
দীর্ঘ ১ মাস ৬ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরে নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করা হয়। এখানে আরো উল্লেখ্য নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো.শফিকুল ইসলাম সরকারসহ ১০ জন সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদে এবং সভাপতি ৪ জন প্রার্থী ছিলেন। সম্মেলনে যারা সভাপতি প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে কেউই সভাপতি পদ পাননি। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকেই রসিকতা করে বলছেন, উপজেলা যুবলীগ সাধারন সম্পাদক মো.শফিকুল ইসলাম সরকার সাধারন সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়ে পেলেন সভাপতি পদ। একেই বলে ভাগ্য!
পৌর আওয়ামী লীগ নির্বাচন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ভজন শংকর আচার্য্য জানান, পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি নির্ধারনের জন্য উপজেলার সকল নেতৃবৃন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি উপর দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিলো। তিনি দলের অভিভাবক হিসেবে এবং তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে পর্যালোচনা করে এই কমিটি ঘোষনা করেছেন। আমি আইনমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।