আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর দিল উত্তর কোরিয়া। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দেশটির রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম ‘কেসিএনএ’ জানিয়েছে, আরও হাজার হাজার মানুষ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে ভুগছে। খবরে বলা হয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত ছয়জন মারা গেছে। এদের মধ্যে একজন করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন। দেশটিতে এক লাখ সাতাশি হাজার মানুষ জ্বরে ভুগছে, যাদের আলাদা রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যদিও উত্তর কোরিয়া এই প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে মৃত্যুর খবর দিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সেখানে আগে থেকেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের অস্তিত্ব ছিল।
রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে এবং সেখানে লকডাউন জারি করা হয়েছে। তবে কত মানুষ আক্রান্ত হয়েছে- সে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। রাজধানীর বাইরেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ‘কেসিএনএ’। রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত সংবাদ মাধ্যম বলছে, “এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে এক ধরনের অজানা জ্বরের বিস্ফোরণ ঘটেছে।” প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে জ্বরের লক্ষণ রড়েছে। তবে এদের মধ্যে কতজন করোনাভাইরাস পজিটিভ- সেটি জানানো হয়নি। টিকা নয়, সীমান্ত বন্ধ করে কোভিড ঠেকানোর চেষ্টা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া। বিভিন্ন দেশ যখন তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে চেয়েছিল, তখন সেটি গ্রহণ করেনি দেশটি।
এর পরিবর্তে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে সংক্রমণ ঠেকানোর চেষ্টা করেছে উত্তর কোরিয়া। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশটিতে অনেক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা কর্মসূচি গ্রহণ না করায় দেশটির আড়াই কোটি মানুষ বেশ ঝুঁকিতে আছে। গত বছর বিভিন্ন দেশ উত্তর কোরিয়াকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ করার প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়া বলছে, দেশটির নেতা কিম জং-উন করোনাভাইরাস সংক্রমণ নির্মূল করার করার জন্য বদ্ধপরিকর। এ বিষয় টিকে তিনি ‘রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সূত্র: বিবিসি