ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ গতকাল মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল ) সকাল ১১ টায় রেল ষ্টেশন এলাকায় সর্বস্তরের জনগনের পক্ষ থেকে কসবা রেলস্টেশন মাস্টার সমর দে ও কর্ণফুলি ট্রেনের সেলসম্যান হাছানের বিরুদ্ধে টিকেট কালোবাজারী সহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন কসবা পৌর কাউন্সিলর মো.আবু জাহের, মো.ফোরকান আহমেদ, মো.আবেদ আলী, সাবেক ইউপি সদস্য মো.তারু মিয়া, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো.হারুনুর রশিদ ও নার্সারী ব্যবসায়ী মো. ইসমাইল মিয়া।
বক্তাগন বলেন, রেলষ্টেশন মাস্টার সমর দে কসবা যোগদান করার পর থেকেই টিকেট কালোবাজারীদের দিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে। সিন্ডিকেটের প্রধান হচ্ছেন গাজী ও মালু মিয়া। তার টিকেট চোরাকারবারী চক্রে রয়েছে জাকির, মিণ্টু, হুমায়ুন, ও মালু মিয়া। এই চোরাকারবারী চক্রের মাধ্যমে রাতের আধারে কম্পিউটার থেকে টিকেট বের করে ১৫০ টাকা মুল্যের টিকেট নির্ধারিত বিক্রেতাদের দিয়ে ৫/৬ শ টাকা মুল্যে টিকেট বিক্রি সহ প্রতিবাদ করলে লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, ষ্টেশন মাস্টার সমর দে বদলী হলেও রহস্যজনকভাবে তা স্থগিত হয়ে যায়। বক্তাগন টিকেট কালোবাজারী, বিদ্যুৎ চুরি ও রাজস্ব আত্মসাতেরও বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবাদকারীগন দ্রুত আইনানূগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
অভিযুক্ত ফারুক মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশ দুটি টিকেট আমার নিকট থেকে উদ্ধার করে। আমি একজন যাত্রীর হয়ে টিকেট দুটি বিক্রি করতে গেলে ষ্টেশন মাষ্টার সমর দে কৌশলে ৩৫ টি টিকেট দিয়ে আমাকে রেলওয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নেয়
এদিকে কসবা সর্বস্তরের জনগনের পক্ষে তালতলা গ্রামের মো. আবদুল হাকিম বাংলাদেশ রেলওয়ে সিআরবি চট্রগ্রাম এর মহাব্যবস্থাপক (পূর্বাঞ্চল) এর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে অনুলিপি দাখিল করেছেন।
কসবা রেলষ্টেশনের সহকারী ষ্টেশন মাষ্টার হাবিবুর রহমান জানান, ষ্টেশন মাষ্টারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত প্রমানসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
চট্রগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা মো.আনছার আলী জানান, কসবা রেলষ্টেশন মাষ্টার সমর দে’র বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পেয়েছি। অচিরেই তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।