ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় পাহাড়ি ঢলে ৪ একর জলাশয়ের মাছ হারিয়ে মাছ চাষী বাচ্চু মিয়া নিরুপায়। জলাশয়ের পাড়ে বসে প্রায় সময়ই কাঁদতে দেখা যায়। জলাশয়ে বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে। অপরদিকে ফিস ফিডের দোকানে প্রায় ৩ লাখ টাকার বকেয়া নিয়ে ঘুম নেই কসবা নোয়াপাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার। অসহায় বাচ্চু মিয়া আর্থিক সহায়তা পাওয়ার জন্য উপজেলা নিবাহী অফিসার ও বিনাউটি ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট আবেদন করেছেন।
খোজ নিয়ে জানাযায়, কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত. আবদুল হামিদের পুত্র মৎস্য চাষী মোঃ বাচ্চু মিয়া একই গ্রামের সাজিদুল হক ভুইয়ার নিকট থেকে ৪ একর জলাশয় ২ বছর আগে ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে। গত ১৭ জুন অবিরাম বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে তাঁর জলাশয়ের প্রায় ৭ লাখ টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানায়, সে ধার-দেনা করে জলাশয়ে মাছ চাষ করেছিল। ফিডের দোকানেও ৩ লাখ টাকা বকেয়া আছে। মাছগুলো এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়েছিল। ঢলে মাছ ভেসে যাওয়ায় চোখে পথ দেখছেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। দুই মেয়ে এক ছেলে স্ত্রী নিয়ে এখন বিপাকে আছেন। তাই আর্থিক সহায়তা জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।
এদিকে উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানাযায়, অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার ১২০টি পুকুর, দিঘী ও জলাশয়ের প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ পুকুর, দিঘী জলাশয়ের প্রকৃত তথ্যাদি মৎস্য চাষীদের নিকট থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাসুদ উল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রবল বর্ষনে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের তালিকা সংগ্রহ করে উধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠানো হবে। আর্থিক বরাদ্ধ পাওয়ার পর ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিতরন করা হবে।