প্রশান্তি ডেক্স॥ আমার মা অসুস্থ ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথে তাকে নিয়ে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা করতে করতে ফেরিঘাটেই মারা যান মা। এ সেতু চালু হয়ে গেলে আমার মায়ের মতো আর কাউকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করে মরতে হবে না। বলছিলেন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসা সাতক্ষীরা জেলার দেবরোল কুমার মণ্ডল।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের। ভোর থেকে দক্ষিণ অঞ্চলের একুশ জেলা থেকে পদ্মা সেতু এবং শিবচরের কাঁঠালবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করছেন অসংখ্য মানুষ।
গত শনিবার (২৫ জুন) ভোর ৬টা থেকে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, বাস, মাইক্রোবাস, পিক্যাপ, ট্রাক ও মোটরসাইকেল করে লোকজন সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। সমাবেশস্থল থেকে চার কিলোমিটার দূরে যানবহন রেখে পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন তারা।
মোংলা থেকে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলে প্রচুর তরমুজ। যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না হওয়ার কারণে ন্যায্য মূল্য পেতাম না। সেতু হয়েছে, আমরা এখন কৃষিতে ন্যায্য মূল্য পাবো। সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
খুলনা থেকে আসক রমেলা বানু বলেন, ‘সেতু আর নেত্রীকে দেখতে এসেছি। এসে খুব ভালো লাগলো।’
মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শনিবার সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে মাওয়া প্রান্তে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই সুধী সমাবেশ থেকেই দুপুর ১২টায় স্বপ্নের পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। অল্প কিছুক্ষণ পরে মাদারীপুরের শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় উদ্বোধন ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।