প্রশান্তি ডেক্স॥ উচ্চ আদালতে জামিন জালিয়াতির কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় একের পর এক জামিন জালিয়াতির ঘটনা ঘটার তথ্য সঠিক নয়।
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে বিএনপির গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘উপযুক্ত বিচার না হওয়ায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতে একের পর এক জামিন জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে, এমন তথ্য সঠিক নয়। উচ্চ আদালতে জামিন জালিয়াতির কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের অনভিপ্রেত জামিন জালিয়াতি বন্ধে জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে ফৌজদারি আইনে বিচারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
কাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ‘রেজিস্ট্রার ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কর্মরত নকলনবীশের সংখ্যা ১৬ হাজার ২৪৫ জন। নকলনবীশদের চাকরি রাজস্ব খাতে ন্যস্ত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।’ শিগগিরই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।
আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৫ লাখ ৫২ মেট্রিক টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৬ লাখ ২১ হাজার।
এই সংসদ সদস্যের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১২ শতাংশের বেশি নারী মৎস্য সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত। গত ৬ বছরে বার্ষিক গড়ে অতিরিক্ত ৬ লাখ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর এ খাতে কর্মসংস্থান রয়েছে।’
জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে যোগদান ও প্রতি ৫ বছর পর পর সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল কার্যক্রম চলমান আছে। বর্তমানে নতুন করে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালার সংশোধনী চূড়ান্তকরণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে তার আলোকে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের তথ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়টি পরিচালিত হবে।’