ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবায় সরকারী কাজে বাধা ও বিজিবি সদস্যদের মারধর করার অভিযোগে এক অটোচালককে গ্রেফতার করে মামলা দিয়েছে বিজিবির চন্ডিদ্বার ক্যাম্প। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জুন বিকেলে পৌর এলাকা আকবপুর গ্রামে।
ওই দিনে গভীর রাতে বিজিবি আটককৃত সিএbজি চালককে কসবা থানায় সোর্পদ করে। পুলিশ অটোচালক রাসেলকে গত মঙ্গলবার ২৮ জুন বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারক হাকিমের আদালতে সোর্পদ করলে বিজ্ঞ বিচারক তার জামিন gb&Ryi না করে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন।
আটক অটোচালক রাসেল মিয়া (৩৪) কসবা পৌরশহরের মৃত নান্নু মিয়ার পুত্র। পৌর এলাকার সীমান্তবর্তী আকবপুর গ্রামের শ্বশুর সিরন মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। গত ২৭ জুন দুপুরে শশুড়ের ঘরে শুয়ে ছিল রাসেল। চন্ডিদ্বার বিজিবির হাক ডাক শুনে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে এলে তাকে স্থানীয় সোহাগ নামক এক চোরকারবারীর ঘর চিনিয়ে দিতে বলে। রাসেল অপারগতা প্রকাশ করলে এ নিয়ে রাসেলের সংগে তর্ক তিতর্কের এক পর্যায়ে সুবেদার মুজিবুর রহমানের সংগে হাতাহাতি হয়। মুজিবুর রহমান ড্রেনে পরে গেলে অন্যান্য বিজিবি সদস্যরা তাঁর উপর হামলে পরে। আজাদ নামক অপর এক বিজিবি সদস্য আহত হলে বিজিবি সদস্যরা রাসেলকে টেনে হেঁচড়ে একটি অটোরিক্সায় তুলে নিজেরাই চালিয়ে নিয়ে ক্যাম্পে চলে যায়।
গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) সন্ধায় সুবেদার মুজিবুর রহমান জানান; গাজা আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ওই বাড়িতে হানা দিয়েছিল। রাসেল যদি সোহাগের বাড়িটি চিনিয়ে দিতো তাহলে আমরা ১ মন গাজা উদ্ধার করতে পারতাম। iv‡mj‡K এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে সেক্টর কমান্ডার, ব্যাটেলিয়ান অধিনায়কসহ আইনমন্ত্রীর হুমকীও দিয়েছিল। তাই তিনি ৬০ বিজিবি অধিনায়কের অনুমতি নিয়ে তাকে আটক করে মামলা দেয়। এ বিষয়ে কসবা থানায় মামলা নং ৩১ তারিখ ২৮.০৬.২২ইং।
এদিকে রাসেলের স্ত্রী নিলুফা (২৬) জানান; বিজিবি সদস্যরা তাঁর স্বামীকে বেদম প্রহার করে অটোতে তোলে চন্ডিদ্বার বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। রাসেল শ্বশুর বাড়ি এলাকা বলে সে কারো নাম বলতে চায়নি বলে স্ত্রী নিলুফা জানান।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত বলেন; উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সংগে আলোচনা করে বিজিবির দায়েরকৃত মামলা নেয়া হয়েছে। রাসেলকে গত মঙ্গলবার (২৮ জুন) জেলv হাজতে পাঠানো হয়েছে।