ধৈয্য আস্থা বিশ্বাস ও ভরসা এই চার এর একত্রিকরণে বা একসঙ্গে মিলে কাজ করণের ফলই হল সফলতা। আজকের বর্তমানকে মোকাবিলা করতে হলে এই চারের সম্মিলনের কোন বিকল্প নেই। এই চারের সম্মিলনের ঘাটতি দেখা দিলেই বিপদ এমনকি মহা বিপদের সম্মুখীন হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা। তাই আমাদের রাজনীতিবিদ, সমর্থক, কর্মী এবং বিরোধী মত ও পথের এখন একটাই কর্মপন্থা বেছে নেয়া উচিত আর তা হলো ধৈয্য, আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা নিয়ে কঠোর পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তার সর্বোত্তম ব্যবহার করে এগিয়ে যাওয়া। শৃঙ্খলিত জিবনের কোন বিকল্প নেই। সরকারকে সহযোগীতা না করার আর কোন উপায়ও নেই। শ্রীলংকাকে একটি জলন্ত উদাহরণ হিসেবে নিয়ে আমরা আমাদের শান্তি ও স্থিতিশীলতার আর নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তার বিধান করতে পারি।
কিসের অভাব ছিল ঐ লংকাবাসীর। হ্যা তাদের ছিল না ধৈয্য, আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা। তারা সরকারকে সুযোগ দেয়নি, সরকার তার পদক্ষেপ এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়না করতে পারেনি। সরকার এবং জনগণের মধ্যে দুরত্ব তৈরী হয়েছিল; যাতে করে ধৈয্য, আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসার জায়গায় একত্রিকরণ করে কার্য সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। তাই আজকের দশা দৃশ্যমান। আর এই দশাতেও শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তার কোন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না তবে তাদের জন্য শুভকামনা রইল। এবং পরামর্শ রাইল যে, সরকারের উপর আস্থা রাখুন, ধৈয্য ধুরুন, বিশ্বাস এবং ভরসার উপর দাড়িয়ে সরকার ও জনগণ একযোযে বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে সামনে এগিয়ে যান— তাহলেই নিশ্চিত সফলতায় পৌঁছাতে পারবেন।
আজকের বাংলাদেশের মানুষের জন্যও ঐ একই আহবান যেন আপনারা সরকারকে সহযোগীতা করুন, বিশ্বাস এবং আস্থা আর ভরসাকে নিয়ে ধৈয্যসহকারে বুদ্ধিদৃপ্ত কর্মপন্থায় কর্মরত থাকুন। সফলতা সুনিশ্চিত। এই বাইরে কোন চিন্তা বা কর্ম করলেই বিপদ সুনিশ্চিত। অতীতের মতো এবারও এই মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগকে মোকাবিলা করে বিশ্বের দরবারে উঁচু মাথাকে আরো উঁচুতে নিয়ে যান। নিশ্চিত জেল ও জুলম জেনেও সরকার এবং দেশকে ভালবাসুন (যা আমি করে যাচ্ছি)। দেশের ক্রমোন্নতিকে আরো অনেকদূর এগিতে যেতে এবং নিতে নিজ নিজ ভুমিকা রাখুন। নিজেকে উৎসর্গ বা বিসর্জন দিয়ে জাতিকে অনেক দূর এগিয়ে দেয়াতে যে আনন্দ তা উপভোগ করতে প্রস্তুত হউন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেহেস্তে বসবাস এবং খোশগল্পের সুযোগকে আরো সম্প্রসারিত করুন।
হতাশ হওয়ার মত কোন কারন আমাদের সামনে নেই। আমরা অনেক ভাল অবস্থানে আছি এবং আমাদের অর্থনীতি এবং বিজার্ভ, জালানির মওজুত এবং খাদ্যভান্ডার এখনও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তাই মনোবল শক্ত করে আগামীর যুদ্ধমন্দার প্রভাব মোকাবিলায় এবং বিশ্বকে সহায়তা করার মানুষিক প্রস্তুতির সময় এখন। যেমনিরূপে করুনাকে মোকাবিলা করে বিশ্বাস নতুন শিক্ষায় দিক্ষা দিয়েছি আর উন্নয়ন সুচকের সকল স্তরে সফলতার বাস্তব ছাপ রেখে বিশ্বকে শিখাতে পারার যোগ্যতা অর্জন করার যে সক্ষমতা দৃশ্যমান তার ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার প্রয়োজনে আরো উদ্যমি মনোবল নিয়ে কাজ করতে হবে। এখন সমালোচনার, ভুল ধরার, ক্ষমাতার পালাবদলের সময় নয়। এখন ঐক্যের সময় এবং ঐক্যবদ্ধ কর্মপন্থার ব্যবহারের সময়। জ্বালাময়ী বক্তব্য, পরনিন্দা, পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট করার সময় এখন নয়। যারা যারা ঐ সকল নেতিবাচক কাজে লিপ্ত রয়েছেন এমনকি নিজ স্বার্থ হাছিলের উদ্ধেশ্যে ইল্লিক-ঝিল্লিক বক্তব্য রাখছেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বলছি এখনও সময় আছে মাতলামি ছেড়ে জাতি গঠনে এবং দেশ মার্তৃকার উন্নয়নে কাজে নেমে পড়ুন। নতুবা ঐ ইল্লিক – ঝিল্লিক বক্তব্যই আপনাকে কাফন ও দাফন করে জীবনাসনের সমাপ্তি টানবে। তাই সময় থাকতে মনা হুশিয়ার।
বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি বা বিশ্ববিখ্যায় আমাদের প্রত্যেকের এখন জ্ঞান লাভ করা দরকার। আর এই জ্ঞানের প্রয়োজনে সৃষ্টিকর্তার স্মরণাপন্ন হওয়া অবিশম্ভাবী হয়ে পড়েছে। কারণ সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত জ্ঞান ছাড়া এই কঠিন সময় পাড় হওয়া বড়ই দূরহ। কথায় আছে বেহেস্তের পুলচেরাতের পূল পার হওয়ার মত কঠিন ও কঠোর রূড় বাস্তবতা এখন আমাদের সামনে হাজির হয়েছে। বর্তমানে আমাদের বেহেস্তে প্রবেশ করার চেয়ে সুচের ছিদ্র দিয়ে উটের প্রবেশ করা সহজ হবে। তাই আমাদেরকে আরো সতর্ক হতে হবে। সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান লাভে তাঁর সাহায্য চাইতে হবে এবং সেই সাহায্যে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহারে সতর্ক হয়ে একনিষ্ট চিত্তে দৃঢ় সংকল্পে বিশ্বাস ও নির্ভরতায় এগিয়ে যেতে হবে।
যার যে জ্ঞান নেই সে সেই জ্ঞানের কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। শান্তির অবয়বকে অশান্তির আন্তরনে পর্যবসিত করার সকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে এবং রাখতে হবে। উতাল- পাতাল মনের কথা বলার সময় এখন নয় বরং এখন কাজের ও চিন্তার সমন্বয় ঘটানোর সময়। শয়তায় বিতাড়নের কাজে সকলেই ঝাপিয়ে পড়ুন। আস্তাগফিরুল্লা বেশী বেশী পাঠ করুন। স্ব স্ব ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে শয়তানকে বিতাড়িত করুন। তবে আমার উপলব্দি এবং অভিপ্রায় এমনকি অর্জিত জ্ঞানের অভিজ্ঞতা হলো সৃষ্টিকর্তার সান্নির্ধে বা আল্লাহর উপস্থিতিতে শয়তান পালায়। তাই সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে থাকুন এবং শয়তান মুক্ত থেকে জীবনকে উপভোগ করুন এবং করান। আর জীবনের অর্জন দিয়ে অন্যের উপকার বা সৃষ্টির উপকার সাধিত করুন। মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাও তাই।
আসুন আমরা একে অন্যকে মহব্বত করি, ক্ষমা করি, নি:শর্ত ভালবাসার বন্ধনে জড়িয়ে জীবন-যাপনে অভ্যস্থ্য হই। এখানে খোদার কালামের একটি আয়াত বা বাক্য উল্লেখ্য করতে চাই। “তোমরা প্রত্যেকে তোমাদের সমস্ত মন, সমস্ত দিল, সমস্ত প্রাণ, সমস্ত অন্তর দিয়ে তোমাদের মাবুদ আল্লাহকে মহব্বত করবে; তারপরে তোমার প্রতিবেশীকে নিজের মত মহব্বত করুবে।” এই কথাটি বা আদেশটি যদি শতভাগ বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে পৃথিবীতে আর পাপ বা শয়তায় থাকার কথা নয় এবং এই পৃথিবী থেকেই মানুষ বেহেস্তের সকল শান্তি, আনন্দ উপভোগ করে যেতে পারব বলে আমার বিশ্বাস। আসুন আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় পরিচালিত হই এবং এই কঠিন সময়কে মোকাবিলা করে সহনশীল ও স্বাভাবিক সময়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসি। মানুষ সৃষ্টির উদ্দেশ্যকে সাফল্যমন্ডিত করি “ আল্লাহ তাঁর নিজ সিফতে বা ছুরুতে মানুষ সৃষ্টি করলেন। সৃষ্টি করলেন পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে। আল্লাহ তাদেরকে বশংবৃদ্ধির ক্ষমতায় পূর্ণ করলেন যেন নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দুনিয়াকে নিজেদের শাসনের অধিতে আনে। এছাড়া মানুষ সমুদ্রের মাছ, আকাশের পাখী এবং মাটির উপর ঘুরে বেড়ানো প্রত্যেকটি প্রাণীর উপরে রাজত্ব করে।” হ্যা আমাদের রাজত্ব এবং শাসন যেন হয় ক্ষমা ও ভালবাসায় সাজানো এবং ন্যায্যতা পরিপূর্ণ। এখন সময় দুনিয়াকে শাসনের অধিনে আনার। এখানে বলতে চাই খোদার প্রতিক্রিয়া নিয়ে; কারণ তিনি তাঁর সৃষ্টিকে দেখে বলেছিলেন সত্যিই খুব চমৎকার। আমার প্রশ্ন হলো সেই সত্যিই এবং চমৎকারিত্ব আজ কোথায়? হ্যা আমরা পারি ফিরিয়ে আনতে আমাদের হারানো ঐতিহ্য সত্যিই খুব চমৎকার-কে। আসুন ধৈয্য, আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসার সঙ্গে ঈমানকে যুক্ত করে অগ্রসর হয় এবং নিশ্চিত আমাদের হারোনো ঐত্যহ্য এবং গৌরব আর খোদার মহিমার স্বৃকীতি সত্যিই খুব চমৎকার কে ফিরিয়ে এনে পৃথিবীতেই বেহেশতী পরিবেশ বিরাজমান রাখি।