সকল দুর্যোগে তিনি অগ্রবর্তির ভুমিকা পালন করেছেন এবং জাতিকে, দলকে এমনকি দেশকে দুর্যোগমুক্ত করেছেন। এবারও তাই করবেন বিশ্বাস সকলের। নিন্দুকেরা বা দেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা এমনকি উন্নয়ন বিরোধী শত্রুরা এই বিশ্বাসে চীর ধরাতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হবে বলে মনে হয় না কারণ জনগণ তাদের ঐ হীন কাজে সমর্থন দিবে না। তবে জনগণের কথা আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে এমনকি সরকার প্রধান হিসেবে জনগণের দুর্ভোগ লাগবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। যারা ক্ষমতার শীখরে রয়েছে তাদের চক্ষুশুলে পরিণত হওয়াদের বাচার অধিকার আছে এমনকি দলীয় সমর্থক ও কর্মী যারা ক্ষমতাপ্রাপ্তদের দ্বারা জর্জরীত এমনকি নি:শেষ হওয়ার পথে তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে এমনকি রক্ষা করতে হবে নতুবা দল ও সরকার পরিচালনার মজবুত ভীত নড়বড় হয়ে বিপদের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এই যাত্রায় শেখ হাসিনার রক্ষা শেখ হাসিনাই করবে; কারন তাঁর বিকল্প তিনি নিজেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজনীতির পালাবদল ঘটার কোন সম্ভাবনা নেই এমনকি সরকার পতনেরও কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ সরকার প্রধান হওয়ার দ্বিতীয় কোন দল বা ব্যক্তি বর্তমানে জনতার সামনে নেই। তাই শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনা নিজেই। পৃথিবীর এই ছন্দপতনের দ্বারপ্রান্তে এসে আমাদের দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজনীতিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। কিন্তু সরকার পতনের মত সুযোগ ও সময় এখনও আসেনি অথবা হাওয়া এখনও লাগেনি। তাই দিবা স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে বরং সরকারকে সহযোগীতায় মনোনিবেশ করুন।
রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টিতে নিমঘ্ন এখন দেশী ও বিদেশী চক্রান্তকারীরা। তবে এই চক্রান্তে সফলতা আসার কোন সম্ভাবনা নেই। বিশেষ করে সরকার দলীয়দের আরো সচেতন হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। মন্ত্রী ও এমপিদের ক্ষেত্রেও ঐ একই অভিজ্ঞতা। তাই সকলেই আরো নম্র হউন এবং মানবিক ব্যক্তিত্বের বহি:প্রকাশে নিরলস পরিশ্রম করুন। আগামীতে আরো কঠোর ও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হওয়ার সমুহ সম্ভবনা রয়েছে। কাজে, কর্মে ও কথায় মিল রাখতে হবে। সকল সংকট উত্তরণে স্ব স্ব ভুমিকা রাখতে হবে। দায়িত্বরতদের আরো মনোযোগী হতে হবে। কোনভাবেই দায়িত্বে গাফিলতি করা যাবে না অথবা সরকার ও দেশের বিনাশকল্পে অতি উৎসাহী কাজ পরিহার করতে হবে।
একটি জরিমানার ইতিবৃত্ত নিয়ে আজ বড়ই অসহায়। ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানার প্রাসঙ্গিকতা। ভিসা অফিসে এক্সিট ভিসা নিতে গেলে ত্রিশ হাজার টাকা ফাইন নেয়া হয়। কারণ কি ঐ জরিমানার তা খতিয়ে দেখতে সবিনয় অনুরোধ রাখছি। যারা কর্মানুমতি পাওয়ার আশায় রয়েছে বা যাদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র সম্পন্নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে তারা কেন ভিসা ফি দিয়ে ভিসা আবেদন করার পরও ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে এক্সিট ভিসা নেবে? যাদের ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়েছে তারা এন এস আই এর গাফিলতির জন্য বিপদগ্রস্থ। ঐ বিপদগ্রস্থরা যদি অফিসের প্রয়োজনে বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে দেশের বাইরে যেতে হয় সেই ক্ষেত্রে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হয়; এটা অন্যায়। যদি জরিমানা দিতে হয় তাহলে সরকারী এজেন্সিগুলো দিবে কারন ঐ বিদেশী কর্মী কোন ভুল করেন নাই। এই ক্ষেত্রে এনজিও ব্যুরো, এসবি, এনএসআই, ভিসা কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে বসে একটি কার্যকরি ইতিবাচক সম্মানজনক সিদ্ধান্ত নিবেন। নতুবা দেশের সুনাম ও সম্মান ক্ষুন্ন হওয়ার ব্যবস্থা উন্মুক্ত। এয়ারপোর্টে জরিমানা নিয়ে এক্সিট ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা চালূ করা হউক। নতুবা মুমুর্ষ অবস্থায় মানুষকে বন্ধি থেকে গোমরে মরতে হয়। গত কিছুদিন আগে এক ডাক্তার তার বাবার মৃত্যু মুখ দেখার জন্য দেশত্যাগ করতে এয়ারপোর্ট গিয়ে জরিমানা দেয়ার ইচ্ছা পোষন করেও যেতে পারেনি। বরং ফেরত এসে টিকেট মাইর দিয়ে নতুন টিকেট নিয়ে পুনরায় যাওয়ার জন্য ভিসা অফিসে ৩০০০০টাকা জরিমানা দিয়ে আবেদন করেও ২য় টিকেটে দেশ ত্যাগ করতে পারেনি বরং আরেকটি নতুন টিকেট ক্রয় করে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। এই গাফিলতির জন্য দায় কার! ঐ মহিলা একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার মিশনারী। আর তিনি এসেছিলেন এই দেশে সেবা করার জন্য এমনকি তিনি আবার আসবেন। তার নিরাপত্তা ছাড়পত্রের কাজ চলমান রয়েছে। এই ক্ষেত্রে এই দু:নার্মের সংকট উত্তরণেও প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ বা ভুমিকা অত্যাসন্ন।
যত সংকট ততই সমাধান। মুশকিলে আছান হলে আমাদের প্রাণপ্রীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই আগামীর নির্বাচন, এবং মুল্যবৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্টি দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একচ্ছত্র সহযোগীতা অব্যাহত রেখেছেন। তাই এই জাতির উন্নয়ন ও সুখ শান্তি এবং সমৃদ্ধির সকল কর্মকান্ডকে সচল রাখতে বর্তমানের কোন বিকল্প নেই। বর্তমানকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে এবং যাওয়ার মানুষীকতাই এই জাতি আজ ঐকবদ্ধ্য।
বিশ^ বাজার অস্থির করা সংস্থাগুলো এখন মরিয়া বাংলাদেশের শান্তিপ্রীয় মানুষের মনে অস্থিরতার আগুনা জালাতে। তবে এই ক্ষেত্রে আমাদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল প্রচলিত ও পরিচিত নেতা নেত্রীরা এখন রাতের ঘুম হারাম করে দেশে এবং বিদেশ থেকে হুংকার বা বিশ্রি এমনকি নেতিবাচক ভঙ্গিমায় কথা বলছেন। কিন্তু জনগণ তাদের ঐ বুলিতে আশ্বস্থ্য হতে পারছেন না বরং তাদের ভ্যালকিবাজির বুলি প্রত্যাখ্যান করে আরো ঐক্যবদ্ধ মানুসিকতার বহি:প্রকাশ ঘটাচ্ছে। জনাব তারেক সাহেব এবং ওনার গংরা এখন তারেকী তরিকায় নিমজ্জ্বীত হয়ে তারেকী ভাষায় কথা বলছেন। কিন্তু ঐ ভাষা এবং তরিকার অধিকারীরা এখন চিহ্নিত ও প্রতারক চক্র হিসেবে জনঅসন্তোষের কারণে পরিণত হচ্ছে। তবে তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সরকারী দলের কতিপয় ব্যক্তিদ্বয়ও নিজেদেরকে বিসর্জনে বলি দিতে জোড় প্রস্তুত নিচ্ছেন। তাদেরকে এখনই নিবৃত করার উপযুক্ত সময়।
সকল দুর্যোগের পরেই আসে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আর এই বিশ্বাস বলয়ের বিশালয় নিশ্চয়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা। তিনি এই শোকের মাসে শক্তিতে বলিয়ান হয়ে সকল দুর্যোগ মোকাবিলা করে উত্তীর্ণ হবেন এবং জাতির যোগ্য কান্ডারী হিসেবে দিকনির্দেশনা দিয়ে আরো সম্মান এবং সম্বৃদ্ধি অর্জনে এগিয়ে যাবেন। এই বিশ্বাস ও ভরসা এবং আশা বাংগালীর ছিল এবং আছে ও থাকবে। তাই সকলেই মোনাজাতে থাকুন এবং সৃষ্টিকর্তার অভীপ্রায় অনুযায়ী আগামীর তরে অগ্রসর হউন। জয় সুনিশ্চিত, আমাবশ্যার ঘোর কেটে নতুন ভোর, নতুন সূর্য উদিত হবে এবং নতুন বাংলাদেশের শুভ অদ্ভ্যুদ্বয় ঘটবে। ন্যায়-নিতি ও মানবীকতা এবং মানবতার জয় সুনিশ্চিত। সত্যের জয় শতভাগ নিশ্চিত।