ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না। বাঙালীর অস্তিত্বে, গৌরবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের নাম ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধুর দর্শন অনুযায়ী বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বঙ্গবন্ধুর নাম। এই ইতিহাস শিশুদের জানাতে হবে।
কসবার ঐতিহ্যবাহী শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিডিসি আয়োজিত “কালজয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” শীর্ষক আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রীর বানিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ব্যক্তিগত সচিব ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ন সচিব জাহিদুল ইসলাম ভুইয়া উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
গত শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সিডিসি প্রতিষ্ঠাতা মো: সোলেমান খানের সভাপতিত্বে স্কুল চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। পাক্ষিক সকালের সূর্য পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাছলিমা আক্তার কাকলির লিখিত “কালজয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান” প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন; উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, কসবা পৌর মেয়র মো: গোলাম হাক্কানী, কসবা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো: আজহারুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো: শহিদুল্লাহ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাও সিনিয়র আলোকচিত্রী সাংবাদিক ফজলুর রহমান ঝিনু।
অনুষ্ঠানে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিকসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধুর উপর কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে প্রধান অতিথি পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্টানে কবিতা আবৃতি করেন কবি শারমীন সুলতানা, কবি এ কে আজাদ পান্না ও কবি গাজী আবু হানিফ।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বঙ্গবন্ধুর কণিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্থানীয় অগ্রভাগীর সাহিত্য সংগঠনের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য “শেখ রাসেল স্মৃতি উপহার” হিসেবে একটি দোলনা উপহার দেয়া হয় সিডিসি স্কুলকে। এ সময় অগ্রভাগীর সাহিত্য সংগঠনের উপদেষ্টা শফিকুর রহমানসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কসবা প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক নেপাল চন্দ্র সাহা।