প্রশান্তি ডেক্স॥ আমরা খাবারের মাধ্যমে যে পুষ্টি গ্রহণ করি, সেগুলো শরীরের বিপাক ক্রিয়ার মাধ্যমে শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। বিপাক ক্রিয়া ধীরে হলে ক্যালোরি কম খরচ হয়। ফলে বাড়তি ক্যালোরি শরীর সংরক্ষণ করে। এর ফলে মেদ বেড়ে যায়। বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত হলে ওজন বৃদ্ধির ঝুঁকি কমে। পর্যাপ্ত পানি পান, নিয়মিত ঘুম, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, সকালে ভরপেট খাওয়া, দিনে চার থেকে ছয়বার খাওয়াসহ কিছু নিয়ম মেনে আপনি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারেন। পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় নির্দিষ্ট কিছু খাবার রাখলেও বাড়বে মেটাবোলিজম বা বিপাক ক্রিয়া।
১। ওটস দিন শুরু করতে পারেন এক বাটি ওটসের সঙ্গে। ফাইবারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের উৎস স্বাস্থ্যকর এই খাবার। ওটস থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করতে খরচ হয় বেশ অনেকগুলো ক্যালোরি। ফলে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কমে ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।
২। ডিম বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান নিয়মিত। সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন ডিমের অমলেট। প্রতিটি ডিম থেকে ৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়।
৩। কলা কলাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি পাওয়া যায়, চিনিও কম থাকে। এতে রেসিস্ট্যান্ট স্ট্রার্চ থাকে যা এক ধরনের স্বাস্থ্যকর কার্ব। এই কার্ব মেটাবোলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া কলাতে থাকা পটাসিয়াম পুষ্টি উপাদানগুলোকে দ্রুত বিভিন্ন কোষে পৌঁছে দিতে পারে। ফলে বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি হয়।
৪। ডাল প্রাণীজ আমিষের চমৎকার উৎস ডাল। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও মিলারেল পাওয়া যায় ডাল থেকে। নিয়মিত ডাল খেলে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যানসারের মতো রোগ থেকে দূরে থাকা যায়। ডালে থাকা প্রোটিন ও ফাইবার ক্ষুধার সময় যেমন পেট ভরাতে সাহায্য করে, তেমনি হজমের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি শরীরের দূষিত বিভিন্ন পদার্থ বের করে দিতে কাজ করে। ফলে বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়।
সবুজ শাকসবজি খান বেশি করে
৫। সবুজ শাকসবজি পালং শাক ও ব্রকোলির মতো সবুজ শাকসবজি পাতে রাখার চেষ্টা করুন রোজ। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন মেলে যা বিপাক ক্রিয়া বাড়িয়ে দিতে কার্যকর।
৬। মেথি বিপাক প্রক্রিয়ার গতি বাড়াতে প্রতিদিন সকালে মেথি ভেজানো এক গ্লাস পানি পান করুন। তথ্য: টাইমস অব ইন্ডিয়া