পাওয়ার না পাওয়ার হিসেবেই মশগুল এখন জাতি। তবে এই হিসেবের গড়মিল বা বেমিল অথবা নেতিবাচক দিকগুলোর চুলছেড়া বিশ্লেষণে মশগুল এখন দেশ বিরোধী দেশী ও বিদেশী চক্র। সবকিছুই হচ্ছে আগামী নির্বাচনকে ঘীরে। সবকিছুর মুলেই রয়েছে ক্ষমতা। এই ক্ষমতার জন্য মানুষ কতকিই না করে যাচ্ছে বা থাকে তার বাস্তব উদাহরণ হলো বর্তমান সময়ের হালচাল। কেউ দিনের বেলায় গলা ফাটিয়ে চেচাচ্ছে এবং প্রেস কনফারেন্স করে আবোল তাবোল বকে যাচ্ছে আর কেউ বা রাতের আধারে বিদেশী প্রভুদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ধন্যা দিয়ে যাচ্ছে; তাও আবার মাঝে মধ্যে মিডিয়ার কল্যানে প্রকাশিত হচ্ছে। তবে খুব কম ষড়যন্ত্রই প্রকাশিত হচ্ছে। তবে এই ক্ষমতা কি স্থায়ী নাকী অস্থায়ী? কেন এই ক্ষমতা? কিসের জন্য এই ক্ষমতা? আর এই ক্ষমতার বাহাদুরী কতদুর অগ্রসর হবে? দুইদিনের এই জিন্দেগীর জন্য আমরা কত কিই না করে থাকি। করোনা মহামারি এবং প্রাকৃতিক সকল দুর্যোগ আর ইতিহাসের সাক্ষিগুলো কি আমাদেরকে একটুও চিন্তিত বা ভাল কিছু করার নেশায় মত্ত্ব করতে পারেনি অথবা পেরেছে কি? না পারেনি বরং আরো বেশী বেপরোয়া করে তোলেছে।
পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত মানুষগুলো শুধু ক্ষমতা আর লোভের বশবর্তী হয়ে যাবতীয় বাহাদুরী বা অন্যায় কাজ করে যাচ্ছে। তবে আমাদের বিভেক এবং শান্তির প্রতিষ্ঠাকারীগণ কখনো কখনো স্ব স্ব ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আবার কখনো কখনো এর বিপরীতেও কাজ করে যাচ্ছে এমনকি স্বকীয়তা এবং শান্তির বিপরীতে গিয়ে পৃথিবীর গতানুগতিক চলমান কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে। তাই চিরস্থায়ী শান্তি এবং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত দায়িত্ব পালনের নিমিত্ত্বে সকল কিছুকে বিসর্জন দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণায় খোদায়ী জ্ঞান ও বুদ্ধি এবং নবী-রাসুলগনের দেখানো ও শেখানো পথের মাধ্যমেই এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা স্থিতিশীলতা, শান্তি এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা বিরাজমান রাখা সম্ভব হবে না। পৃথিবীর মানুষ তার নিজস্ব জ্ঞানে ও গুণে এবং কার্যক্রমে যা করেছে তা শুধু ক্ষণিকের শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়ন করে আর এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী অশান্তির বীজ বপিত হয়ে সমগ্র পৃথিবীকেই অশান্ত করে তোলে। যার প্রমান আজকের এই পৃথিবীর দৃশ্যমানতা। যা আগেও ছিল এখনও আছে এবং আগামীতেও থাকবে।
আমাদের দেশীয় রাজনীতিতে যে গতিময়তা এসেছে তা কিন্তু শান্তির নয় বরং অশান্তির আগুনোর লেলিখান শিখারই মত একটি স্ফুলিঙ্গ মাত্র। আমরা দেখেছি যখনই দেশ এগিয়ে যায় অথবা উন্নয়ন ও গতিশীলতা আর শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চিত আগামীর নিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হয় ঠিক তখনই শয়তান দিশেহারা হয়ে যায় এবং তার শয়তানী শুরু করে আমাদের মত মানুষদেরকে বিভিন্ন লোভের এমনকি লাভের নিশ্চয়তা দিয়ে ব্যবহার করার মাধ্যমে। আর এই ব্যবহার যুগে যুগে ছিল এবং এখনও আছে। এই শয়তানীকে চিরতরে বিতারিত করার জন্য যে উপায় আমাদের সামনে রয়েছে তা আমরা অনুসন্ধান করছি না এমনকি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছি না। দেশের উন্নয়ন ও দশের উন্নয়ন এই কথাগুলোকে পুজি করে আজ ক্ষমতালোভীরা তাদের মিথ্যা বেসাতী বা মিথ্যার ফুলঝুড়ি সাজাচ্ছে। এখানে ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গ এনে আবারো দেশবাসীকে ভূল আশ্বাস, ভুল ধারনা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। দেশের মানুষের মস্তিষ্ককে উচ্চ রক্তচাপের তাড়নায় উন্মাদ বানানোর পায়তারা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনীতির অবিছেদ্য অংশ হলো ইন্ডিয়া; তবে সরকার ও ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়ার ভুমিকা তেমন না থাকলেও নেতিবাচকতা দিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্তকরণ সহজ। তবে এই বিষয়টি আগে সহজ ছিলো বটে কিন্তু বর্তমানে এই বিষয় এত সহজলভ্য নয়; কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল মানুষের উর্বর মস্তিষ্ক। মানুষ কখনো আর ঐ ভুল করে নিজেদের ক্ষতি সাধিত করতে নারাজ।
মানুষের দৃষ্টি শক্তি এবং সুদুরপ্রসারী জ্ঞান যথেষ্ট ভুমিকা রাখছে যাতে করে আগামীর কল্যাণের তরে কোন ভুল না হয়। সেইদিক দিয়ে বর্তমান সময়ের মানুষ বহু উপকারের ভোক্তভোগী হিসেবে ভাল-মন্দ বিবেচনা করার বোধ শক্তি এখনও অটুট রয়েছে আর সেই হিসেবে মানব কল্যাণে নিয়োজিতরাই আগামীর সরকার পরিচালনা করার সমূহ সুযোগে বাধিত হবে। তবে বিশৃঙ্খলা এবং নেতিবাচক রাজনীতির মাথাচাড়া দিয়ে উঠারা মরণকামড় দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করবে। তারা বলেছে হয়তো জীবন নয়তো মরণ। এর কথার মানে হলো মরণের মাধ্যমে হলেও আমরা জয়ী হতে চেষ্টা করবো। মিথ্যা আশ্বাস এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে যখন আর বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়নি তখনই মরন কামড় দিয়ে মৃত্যুর মিছিল সন্নিবেশিত করে মানব মনের গহিনে মায়ার বাধন সৃষ্টি করে সহানুভুতি আদায়ে চেষ্টারত থাকে। তাই সাবধান মরণের স্বীকারে বা ফাঁদে যেনো পা না দিই; তবে অতীতের ইতিহাসকে স্ববিস্তারে স্মরণে রাখি। আগামীর কল্যানে কাজে আসবে। বর্তমানে জনসচেতনতা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই ভাল কাজগুলোর প্রশংসা এবং জনকল্যাণের সকল কর্মকান্ডকে জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া এখন সর্বসাধারণের নৈমত্তিক দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। তাই সকলেই সকলের অবস্থান থেকে এই দায়িত্বটুকু পালণে সচেষ্ট হউন।
সরকারের ক্ষেত্রে যেসকল প্রতিবন্ধকতা এখনও বিরাজমান এবং দৃশ্যমান তার অপসারণ করা হউক। দলের কোন্দল এবং দলীয় লোকদের দ্বারা দলীয় লোকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং হামলা বন্ধ আশু করণীয়তে পরিণত করতে হবে। সরকার প্রধান দলের নেতা-কর্মী এবং মন্ত্রী – এমপিদের এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে বাস্তবে কায্য সাধন করতে হবে। দলীয় ঐক্যের কোন বিকল্প নেই এবং দলীয় সম্প্রীতির বন্ধনের কোন ব্যাত্যয় ঘটানো যাবে না। দলের কান্ডারী এবং দলীয় স্বচ্ছ ভাবমূর্তীর মানুষদেরকে এখনই ব্যবহার করার উপযুক্ত সময়; স্বচ্ছ ভাবমুর্তীর নেতা-কর্মীরা এখন থেকে প্রতিনিয়ত জনগণের ঘরে ঘরে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ সম্বন্ধ স্থাপন এবং জনগণের প্রয়োজনে নিজেদের সম্পৃক্তকরণ আবশ্যকীয় হিসেবে বিবেচনা করে চলমান কাজকে আরো গতিশীল করতে হবে। দলীয় কম গুরুত্বপূর্ণ এমনকি সামাজিক গ্রহনযোগ্যতাহীনদের দ্বারা দলীয় কোন কাজের ফল প্রত্যাশা করা এখন আর দরকার নেই বা প্রথম সারিতে রেখে অগ্রসর হওয়ারও দরকার নেই। বরং তাদেরকে পিছনে রেখে সামাজিক গ্রহনযোগ্যদেরকে সামনে রেখে কর্মকান্ড পরিচালনা করা জরুরী হয়ে পড়েছে। এখন থেকে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় চিরুনী অভিযান পরিচালনা করুন এবং নিজ নিজ দলের স্বচ্ছ কর্মী এবং সমর্থক ও নেতা-নেত্রী আর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরকে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করুন। দল ও দেশ এবং সরকারকে একসূত্রে আবদ্ধ করার জন্য নতুন পরিকল্পনা এবং গ্রহণযোগ্য কায্যকর ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত করে অগ্রসর হউন। তাহলেই সত্যের জয় সুনিশ্চিত।
মানুষের মনে যে নেতিবাচক ভাবধারা সৃষ্টিতে মুখরোচক ও নেতিবাচক বক্তব্য উপস্থাপিত হচ্ছে সেগুলোর ফয়সালা করুন। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এবং দল ও সরকারের সম্মানীয়দের নিয়ে যে বক্তব্য হরহামেশা দিয়ে যাচ্ছে সেগুলো বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ব্যবহার যখন প্রয়োজন তখনই এই আইন অকার্যকরের মত রুগ্নভাবে বেঁচে আছে। তবে পূর্বে যারা ক্ষমতার স্বীকারে পরিণত হয়েছিল তাদের দায়মুক্তি দিয়ে আগামীর করণীয় ঠিক করুন। তথ্য প্রযুক্তি আইনের দরকার এবং এর ব্যবহারেরও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তাই সরকার এবং সরকার প্রধানকে নিয়ে কোন ছাড় নয় বরং এর ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দেশ, সরকার ও সরকার প্রধান এর সম্মান রক্ষায় এই আইনের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। আমি এই সংখ্যায় পাওয়া না পাওয়ার হিসেব কষে উল্লেখ করেছি এবং আগামীতেও করবো তবে সত্যের সঙ্গে, সত্যের পথে চলবো এবং সত্যকে নিয়ে আগামীর কল্যাণে অগ্রসর হবো। পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে মগ্ন জাতিকে সত্যের আলোকে বের করে নিয়ে আসবো এবং সত্যের ছায়াতলে বসবাস করার ব্যবস্থা করবো। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে এই কাজটুকু একসঙ্গে করি এবং সত্যকে নিয়ে আগামীর কল্যাণে একযুগে অগ্রসর হই। সত্যের জয় সুনিশ্চিত।