প্রশান্তি ডেক্স॥ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিজয়ের পরপরই দেশজুড়ে পাশবিক অত্যাচার শুরু করে ছাত্রদল ও শিবিরের সন্ত্রাসীরা। এমনকি বিজয় উদযাপনের মিষ্টিগুলো পর্যন্ত দোকান থেকে লুট করে নিয়ে আসে তারা, ভাঙচুর চালায় দোকানে দোকানে। এমনকি নির্বাচনের রাত থেকে তারা টানা নিপীড়ন চালাতে থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর। রাতভর বিভিন্ন ছাত্রাবাসে লুটপাট ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর মারধর করে চাঁদাবাজি চালাতে থাকে ছাত্রদল-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা কলেজসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মেরে বের করে দেয় ছাত্রদল-শিবিরের সন্ত্রাসীরা।
৫ অক্টোবর, ২০০১ সালের প্রথম আলো পত্রিকায় এ বিষয়ে অনেকগুলো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো দখলের পর ছাত্রদল-শিবিরের নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগের ছেলেদের রুমে রুমে অভিযান চালিয়ে তাদের ব্যবহার্য জিনিসপত্র লুটপাট করে। ছাত্রলীগের ছেলেদের রুমে রুমে ভাঙচুর চালায় তারা। অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের বেধড়ক মারের শিকার হয়। এমনকি ছাত্রদল কর্মীদের সহায়তায় ঢাবির হলগুলোতে বহিরাগত সন্ত্রাসীরাও আন্তানা গেড়ে বসে। ঢাকা কলেজের হলগুলোতে ছাত্রলীগের ছেলেদের রুমে রুমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এছাড়াও ঢাকা মেডিক্যালের হলে টানা কয়েকদিন ধরে নির্যাতন চালানো হয় ছাত্রলীগ সমর্থিত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর। অনেককে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। ফাটা মাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও নিরাপত্তাহীনতার কারণে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন ছাত্রলীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।