সুখরঞ্জন দাশগুপ্তঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে শুরু থেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছে বিএনপি। সফরের আগে থেকেই বিভিন্ন রকম কটূক্তি করতে শুরু করে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে মোকাবিলা করতে পারছেন না। এমনকি ইসলামপন্থী-রাজনীতির ছদ্মবেশে থাকা বাংলাদেশের উগ্রবাদী অংশটিও প্রতিবারই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে ওঠে। তাদের মূল টার্গেটই হলো– প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় প্রতিপন্ন করা এবং তাকে জনগণের সামনে ছোট করে উপস্থাপন করা, যাতে নিজেদের দুর্বলতাগুলো ঢাকা পড়ে। কিন্তু তাদের এই সুপরিকল্পিত অপপ্রচারগুলো পুরোটাই ফাঁকা আওয়াজ, পুরোপুরি অন্তঃসারশূন্য।
বিএনপি ও তার মিত্র মৌলবাদী দলগুলো কেন এজেন্ডা সেট করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ভারত সফরের সময়ই প্রোপাগান্ডা ছড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে? আসুন সেই কারণটি একবার খুঁজে দেখি। ঘটনার উৎস অনুসন্ধান করতে, আসুন মির্জা ফখরুলের কাছেই জানতে চাই যে, তার দলের নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভারত সফরে কী অর্জন করেছিলেন? উত্তরটা খুব সহজ, কিন্তু মির্জা ফখরুলরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না বা দেবেন না। কারণ তার নেত্রী খালেদা জিয়া দু-বারে দশ বছর সরকারে থাকলেও ভারতের কাছ থেকে কোনো কিছুই আদায় করতে পারেননি। খালেদা জিয়ার দুই মেয়াদে তার দিল্লি সফরের সময় তাৎপর্যপূর্ণ একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষ কিছুই পায়নি।
অথচ, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে ভারতের সাথে আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তারপর ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের নির্মমভাবে হত্যার পর দেশে উগ্রবাদ-মৌলবাদ-সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটে। দীর্ঘ দুই দশক ঘাতক চক্র ও স্বৈরশাসকদের কালো থাবায় বিক্ষত হতে থাকে বাংলাদেশ। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ ও নথির মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে পড়ে যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার অন্যতম ক্রীড়নকের ভূমিকা পালন করেছেন তৎকালীন উপ-সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর খুনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। প্রথমে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারিতে সহায়তা এবং পরে সেই অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন।
জিয়াউর রহমান ও তার পরবর্তী দীর্ঘ দুই দশক স্বৈরশাসক ও উগ্রবাদী শক্তির অধীনে দেশের অবস্থা হয়েছিল তথৈবচ। কিন্তু ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে আবারও সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রথমবারের মতো দেশের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই ভারতের সাথে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হন তিনি। তারপর আরও কিছু কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন করেন শেখ হাসিনা। ছিটমহল সমস্যা, ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তির মতো কিছু দীর্ঘ অমীমাংসিত সমস্যাও সফলভাবে সমাধান করতে সমর্থ হন তিনি। আরও জেনে রাখুন, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তিটি কিন্তু নবায়নের জন্য শিগগিরই আবারও টেবিলে উঠবে, সরকার ওই প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। যদি সফলভাবে এই চুক্তিগুলি সম্পন্ন করার ঘটনাকে ‘ভারতকে মোকাবিলা করতে শেখ হাসিনার অক্ষমতা’ হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল, তাহলে বলতেই হয় যে, ফখরুল অবশ্যই নোংরা রসিকতা করছেন! তাদের এই অপচেষ্টা দেশের সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল মাত্র।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেমন কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় ভারত থেকে বাংলাদেশের মানুষ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান পেয়েছে, তেমনি বিএনপি সরকারের সময় তারেক রহমানের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে ধিকৃত হতে হয়েছে। ২০০৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে চাঞ্চল্যকর দশ ট্রাক অস্ত্র জব্দ এবং অস্ত্র চোরাচারানের ঘটনায় তারেক রহমানের ডান-হাত বলে পরিচিত তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘৃণ্য ভূমিকার কারণে প্রতিবেশী রাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথেও বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
এমনকি ওই সময় বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার একটি সমাবেশে গ্রেনেড মেরে তাকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়। ওই হামলায় পাকিস্তানি গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তারেক রহমানের নির্দেশনায় হামলাকারীদের নিরাপদে পাকিস্তানে প্রবেশের পথ নিশ্চিত করেছিল বিএনপি সরকার। পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীদের যোগসাজশে এদেশীয় মৌলবাদীদের দ্বারা পরিচালিত ওই হামলায় কমপক্ষে ৩০ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী নিহত হন। মানববর্ম রচনা করে সেদিন নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার প্রাণ রক্ষা করেন তবে তিনি কানে আঘাতপ্রাপ্ত পান এবং তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষতায় দেশে সন্ত্রাসবাদ এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে ওই বিচারকে ব্যহত করার মতো নৃশংস ঘটনায়, বাংলাদেশকে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে প্রতিবেশীরাসহ পুরো আন্তর্জাতিক বিশ্ব।
আবার বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফিরে আসা যাক। এবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কী হলো? বাংলাদেশকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশে (নেপাল, ভুটান) পণ্য সরবরাহ বা রপ্তানি সুবিধার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে আরও গতি আনার জন্য আলোচনা এবং বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি– প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ সফরের মূল অর্জন। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির পাশাপাশি জ্বালানি সহযোগিতার অগ্রগতিও হয়েছে।
তবে এটা সত্য যে, তিস্তা নদীর পানির হিস্যা দীর্ঘদিন থেকেই চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো সেই তিস্তা চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য নিরলসভাবে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন ভারত সরকারকে, যার ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও তিস্তার পানির ন্যায্য বন্টন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে বাংলাদেশের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু আপনারা সবাই জানেন যে, এই চুক্তিটি বাস্তবায়িত হচ্ছে না ঢাকা বা দিল্লির জন্য নয়। এটি আটকে আছে ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক জটিলতার কারণে। মূলত নদীটি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত হওয়ায়, সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাধার মুখে এই চুক্তি বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।
আপনারা জানেন, ১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তির সময় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু যেমন আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে, যার ফলে ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে চুক্তিটি সম্পন্ন করতে পেরেছে। ঠিক তার উল্টো ভূমিকা রাখছেন এখনকার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ২০১০ সালে মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় মমতা ব্যানার্জির অসহযোগিতার কারণে চুক্তিটি থমকে যায়। নাহলে সেই সময়েই তিস্তা চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে নাক না গলিয়ে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে কোনো আক্রমণাত্মক বক্তব্য না দিয়ে বরং বিচক্ষণতার সঙ্গে কূটনৈতিক উপায়ে মমতাকে ম্যানেজ করার যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও অতিরঞ্জিত বক্তব্য না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সংযোগ এবং নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের জবাব দিয়ে ভারতকে চাপে রেখেছেন। এই বন্ধুত্বপূর্ণ কৌশলী নীতি এবং ভারতের উদ্বেগকে মোকাবিলা করার মাধ্যমে এর আগেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জটিল ছিটমহল সমস্যা (স্থল সীমান্ত চুক্তি) নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছেন। আকারে ক্ষুদ্র আয়তনের বাংলাদেশের তিন দিকে সুবিশাল ভারত রাষ্ট্র। এখানে বাস্তবতা অনুসারে পরিস্থিতি ম্যানেজ করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ এবং শেখ হাসিনা ঠিক সেই কাজটিই করে চলেছেন। কারণ ভৌগলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা ছাড়াও সবদিক থেকে বাংলাদেশের তুলনায় অগ্রসরমান এবং সুবিশাল ভারত রাষ্ট্রের সাথে জবরদস্তিমূলক কূটনীতি সফল হওয়ার সম্ভাবনা শূন্য– এই প্রক্রিয়া কখনোই ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না। শেখ হাসিনা এ কারণেই দ্বিতীয় পথে না হেঁটে প্রথম পন্থাটিতেই ধৈর্য ধরে কাজ করে চলেছেন।
কারণ, ভারতীয়দের মন এবং রাষ্ট্রীয় সিস্টেম কীভাবে কাজ করে তা শেখ হাসিনা খুব ভালো করেই জানেন। ১৯৭৫ সালে তিনি তার বাবা শেখ মুজিবসহ পরিবারের সবাইকে হারানোর পর ছয় বছর ভারতে বসবাস করেছেন। ওই সময় প্রয়াত জ্যোতি বসু এবং প্রণব মুখার্জির মতো কয়েকজন প্রবীণ ভারতীয় রাজনীতিবিদের সঙ্গে তার পরিবারিক সম্পর্কের মতো সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ কারণে তিনি কখনোই অযৌক্তিকভাবে কঠিন কোনো আচরণ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে জটিল করে তোলেননি। উল্টো তিনি বরাবরই ভারতীয় নীতি-নির্ধারকদের মনস্তস্ত্ব নিয়ে খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলেছেন।
অন্যদিকে, আদালতের দণ্ড ঘাড়ে নিয়ে লন্ডনে পলাতক জীবনযাপন করা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেওয়া থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদের মদত– কোনো কিছুই বাদ দেয়নি। এমনকি দেশ ও জাতির ইতিহাস নিয়েও মিথ্যাচারের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে সে। ২০১৩ সালে নিজের পিতা ও স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’ হিসাবে দাবি করে বাংলার গণমানুষের মনকেও আঘাত দিয়েছিল সে। এরপর বাংলাদেশের শিক্ষাবিদ ও রাজনীতি পর্যবেক্ষকরাও তাকে জাতির মৌলিক ইতিহাস পাঠ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
ওই তারেক রহমানের পরামর্শ মতোই এখনো বাংলাদেশের ইতিহাস ও রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত মিথ্যাচার করে চলেছে বিএনপি। এ কারণেই ফখরুল এবং তার সহযোগীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে কেন্দ্র করে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বলতে শুরু করেছে যে– ‘শেখ হাসিনাকে ভারতকে মোকাবিলা করতে অক্ষম’। শেখ হাসিনাকে যেভাবে মিথ্যার জালের জড়িয়ে নোংরা আক্রমণ করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত ও উগ্রবাদী গোষ্ঠী, এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের অক্ষমতা, দীনতা ও গভীর রাজনৈতিক হতাশা প্রতিফলিত হচ্ছে। আর এটাও স্পষ্ট হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসলে কত পরিকল্পতভাবে এবং ভালভাবে ভারতকে হ্যান্ডেল করছেন।
অপপ্রচারকারী ও ফাঁকা বুলি ছড়ানো বিএনপি-জামায়াত জোটের হতাশা এতটাই প্রকট যে, আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো যোগ্যতা কিংবা মুখ কোনোটাই নেই তাদের। ২০১৩-২০১৪ সালের গণমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, যারা প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ পুড়িয়ে মারে, পাড়ায় পাড়ায় ছেলেমেয়েরা যাদের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে; তাদের প্রতি আজও মানুষের কোনো সহানুভূতি নেই। তাই তারা এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। তারেক রহমানের নির্দেশে তারা এখন তাদের বিদেশি প্রভুদের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষমতায় বসার জন্য দেন-দরবার করে বেড়াচ্ছে। দেশের অগ্রগতি বা বাঙালি জাতীয় স্বার্থরক্ষা তাদের ভালো লাগে না, দেশবিরোধী বহু রকমের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে সাধারণ জনগণকে উস্কে দেওয়াই তাদের এখন মূল এজেন্ডা!
লেখকঃ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘মিডনাইট ম্যাসাকার‘ বইয়ের লেখকসৌজন্যেঃ bdnews24.com