ভজন শংকর আচার্য্য ,কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ) প্রতিনিধি ॥ শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার প্রতিমা শিল্পীরা। এখন দম ফেলার সময় নেই তাদের। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরে মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজা
, মহালয়ার দিন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপূজার দিন গণনা। এই শারদীয় দুর্গা উৎসব শুরু হবে আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে।
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ দিতে রাতভর চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। নিখুঁত হাতের কারুকার্য দিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তৈরি করছে প্রতিমা। পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন ব্যস্ত হয়ে পড়ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার প্রতিমা তৈরি শিল্পীরা।
উপজেলায় বিভিন্ন মণ্ডপে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতিমা তৈরির কারিগরা বাঁশ, কাঠ, সুতা, খড়, কাদামাটিসহ প্রতিমা তৈরির উপকরণ দিয়ে তাদের নিখুঁত হাতের কারুকার্যে তৈরি করছে প্রতিমা, কসবার বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দিরে মন্দিরে মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। দেবী দুর্গার প্রতিমা ছাড়াও কার্তিক, গনেশ, লক্ষ্মী ও সরস্বতীসহ অন্যান্য প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন শিল্পীরা।
কারিগর দুলাল পাল বলেন, । আমি কসবায় প্রতিবছর প্রতিমা তৈরির কাজ করে থাকি। এবার করোনা পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সবাই ভালোভাবে পূজার প্রস্তুতি নিয়েছেন। যে কারণে কাজ বেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় কসবায় আমি ১০ প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। কমিটির লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী এবার প্রতিমার আকার ও ডিজাইনে ভিন্নতা এসেছে। বর্তমানে আমরা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করছি। আর দুই-একদিন কাজ করলেই মাটির কাজ শেষ হবে। এরপর প্রতিমা শুকানোর জন্য রেখে দেবো। পূজা শুরুর কয়েকদিন আগে রঙের কাজ শেষ করে কমিটির লোকজনের কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
’কসবা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিলীপ কুমার রায় বলেন আগামী ১ অক্টোবর মহাষষ্টির মাধ্যামে এ বছর কসবায় ৫৪টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে উদযাপনে তিনি সকলের সহায়তা কামনা করেছেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃমহিউদ্দিন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি চলছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যেই পালিত হবে।