ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবার পৌর এলাকার নোয়াপাড়া গ্রামের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী জামাল মিয়া (৪৫) ষোল বছরের এক দরিদ্র মাদরাসা ছাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিলো। গ্রামের সর্দারদের কাছে ধর্না দিয়ে বিচার না পেয়ে ভয়ে কিছুদিন চট্রগ্রামে বোনের বাসায় কাটিয়েছে। ফের বাড়ি চলে এলে জামাল জোরপূর্বক ওই মেয়েকে ভোগ করার ফন্দি ফিকির করে। উপায় না দেখে মা স্থানীয় পৌর কমিশনার ফোরকান মিয়ার কাছে যায়। ফোরকান তাকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর থানার ওসির নিকট পাঠায়। ধর্ষনের আলামত নষ্ট হয়ে গেছে এই অজুহাতে পুলিশও করছে নানা তাল বাহানা। ফলে ওই ছাত্রীর বিচার পাওয়ার পথটুকু রুদ্ধ হয়ে গেছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষিতা ও তার মা বলেন, ধর্ষক জামালের বাড়ির পাশেই তাদের বাড়ি। ধর্ষিতা মেয়েটি বলেন, গত ১৮ জুলাই সোমবার রাত ৯ টায় তার মায়ের অনুপস্থিতিতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে ছুরির ভয় দেখিয়ে জামালের দালান ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে তাকে আটক করে জোরপূর্বক ধর্ষন করে এবং মোবাইলে ধর্ষনের চিত্র ধারন করে। পরে এ বিষয়ে মুখ খুললে তার ভাইকে খুন করার হুমকি দেয় জামাল।
গত ২৬ জুলাই পুনরায় ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক তাকে আবারও ধর্ষন করে। ফলে ধর্ষিতা মেয়েটি লুকিয়ে লুকিয়ে কান্নাকাটি করতো। এক পর্যায়ে মায়ের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি মুখ খুলে। নিরুপায় হয়ে মা তখন তাকে চট্রগ্রামে বোনের বাসায় পাঠিয়েছিলো। সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর পুনরায় মা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এ বিষয়ে গ্রামের সর্দারদের বাড়ি বাড়ি নালিশ করেন। কিন্তু কেউ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পুনরায় মেয়েটিকে আবারও টানা হেচরা করে তুলে নেয়ার চেষ্টা করলে ধর্ষিতা কন্যা আর্তচিৎকার শুরু করে। তার আর্তচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য মহিলারা দৌড়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষক জামাল পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান, ধর্ষনের ঘটনায় অভিযোগ হয়েছে। কসবা থানা ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমানকে এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।