প্রশান্তি ডেক্স॥ আগামী নভেম্বর মাসে হচ্ছে না জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন। ওই মাসের শেষ সপ্তাহে ডিসি সম্মেলন-২০২১ অনুষ্ঠানের কথা বলা হলেও তা পিছিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। প্রতিবছর জুলাই মাসে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এ বছরের ডিসি সম্মেলনটি হতে পারে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। যা পরে বহাল রাখার বিষয়টিও ভাবছে সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এ বছরের নভেম্বর অথবা ডিসেম্বরে ডিসি সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতিমূলক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ খুঁটিনাটি সব বিষয় নিয়েই পর্যালোচনা করা হয়। শিগগিরই ডিসি সম্মেলন আয়োজনের একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি থাকলেও তা হচ্ছে না।
সূত্র জানিয়েছে, এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী বছরের জানুয়ারিতে। এখন থেকে যা পরবর্তী সময়েও বহাল থাকবে। এর আগে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন দেওয়া সময়েই অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী ডিসি সম্মেলন।
উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে শেষ মুহূর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিসি সম্মেলন-২০২১ স্থগিত করা হয়। তবে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ডিসি সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। সম্মেলন উপলক্ষে আলোচ্য বিষয়গুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৮ বিভাগীয় কমিশনার ও ৬৪ জেলা প্রশাসক নিজ নিজ জেলা সম্পর্কিত সরকারি তথ্যাদি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাইয়ের শেষ মুহূর্তে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিসি সম্মেলন-২০২১ স্থগিত করা হয়। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অনুকূল হওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ডিসি সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী। সম্মেলন উপলক্ষে আলোচ্য বিষয়গুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আসন্ন ডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে ‘ডিসি সম্মেলন-২০১৯’-এ ডিসি ও সব বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখনও কোনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। তবে আমরা আমাদের সুপারিশ ও প্রস্তাবনা ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। নভেম্বরের কথাও শুনেছিলাম। এখন আবার জানুয়ারির কথা শুনছি।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে গত বছর জুলাইয়ে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই সম্মেলন চলতি বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েও তা স্থগিত করে সরকার। পরবর্তী সময়ে করোনাভাইরাস মহামারি তীব্র আকার ধারণ করায় গত জুলাইয়ের উদ্যোগও থেমে যায়। সরকারের প্রচলিত রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর জুলাই মাসে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ডিসিদের জন্য এই সম্মেলন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। মাঠপর্যায়ের নানা সমস্যা এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধাগুলো নিয়ে সম্মেলনে খোলামেলা আলোচনা হয়। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে এর মাধ্যমে নানা ধরনের দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। এমনকি স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের চাপ ও প্রভাব মোকাবিলায় সম্মেলন থেকে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ পাওয়া যায়। ডিসিরাই মাঠ পর্যায়ে সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন।