প্রশান্তি ডেক্স॥ সম্প্রতি ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা দিয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপনের কড়া সমালোচনা করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘মানুষ যেন সঠিক তথ্য জানতে না পারে, গণমাধ্যম যেন এই সরকারের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারে, সে জন্য সার্কুলার দিয়েছে তারা কাউকে কোনও খবর দেবে না। এর অর্থ হচ্ছে তাদের দুর্নীতি, চুরি—সেগুলো ঢেকে রাখার জন্য সমগ্র দেশকে, জাতিকে বঞ্চিত করে রাখতে চায় সঠিক খবর থেকে।’
গত বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে এক শোক মিছিলপূর্ব সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে এই শোকমিছিল বের করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার এতটা ভয়াবহ স্বৈরাচারে রূপ নিয়েছে যে তারা পুলিশ দিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে বিরোধীদের নাম নিচ্ছে, তল্লাশি করছে। তিনি বলেছেন, এই সরকারকে আর কোনও সময় দেওয়া যায় না। সরকার এখন জাতির জন্য একটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাকে অবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।’
সরকার অপসারণের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে, তরুণ যুবকেরা জেগে উঠেছে। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো, পেছনে ফিরবো না। এই সরকারকে বাধ্য করবো পদত্যাগ করতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা প্রদান করতে। অনেক রক্ত দিয়েছি, আরও রক্ত দেবো। এই দেশের মানুষকে আমরা মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম। এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির, মোস্তাফিজুর রহমান, শিরিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশ শেষে একটি শোক মিছিল নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টন, ফকিরেরপুল ও আরামবাগ হয়ে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।