ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাক্ষণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ কসবায় জনপ্রতিনিধি স্বামীর হাতে নির্মমভাবে জীবন দিতে হলো স্ত্রীর। হত্যাকান্ডে সাহায্য করেছে নেশাখোর পুত্র। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই ইউনিয়নে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে।
গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) সকালে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গোপীনাথপুর পশ্চিম পাড়ার ২ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মোস্তাক আহম্মেদ (৪৭) তার নিজ স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫)কে শারিরীক নির্যাতন করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। মোস্তাক আহম্মেদের নেশাখোর পুত্র মোঃ আকরামীন এই হত্যা কান্ডের সহায়তা করার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
জানাযায়,পিতা-পুত্রের নির্যাতনে রাজিয়া বেগম নিহত হলে তারা গ্রামবাসীকে স্ট্রোক করেছে বলে জানান। পরে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্্ের নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করে। কসবা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ব্রক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ময়না তদন্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন আছমা আক্তার (৪৫) বাদী হয়ে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পুত্র আকরামীন (১৮) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদী আছমা আক্তার জানান, আমার বোনকে প্রায়ই তারা নির্যাতন করতো। পিতা-পুত্র মিলে আমার বোনকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি। এ ব্যাপারে মাননীয় আইনমন্ত্রী মহোদয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অফিসার ইনর্চাজ কসবা থানা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পিপিএম জানান ,এ ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে মহিলাকে মারধোর ও নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে। তাই নিহতের বোন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তাৎক্ষনিক একজন আসামীকে গ্রেফতার করেছি। তবে প্রধান আসামী মোস্তাক আহম্মেদ মেম্বারকে গ্রেফতার করার চেষ্ট্রা অব্যাহত রয়েছে।