বাআ॥ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামরা করে ও গুলি করে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেক হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বিএনপি-জামায়াত সরকার। সেই মিশন ঘটনা ব্যর্থ হলেও, আহতদের চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে দেয়নি তারা। এমনকি ‘জজমিয়া’ নাটক সাজিয়ে এই জঘন্য ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করেছিল খালেদা জিয়ার সরকার। এমনকি শেখ হাসিনাকে রক্ষাকারী আওয়ামী লীগ নেতাদেরই ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিএনপি সরকার।
কিন্তু ২০০৭ সালে তৎকালীন সরকারের তদন্তে উঠে আসে এই হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত বিএনপির তিন মন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান এবং হাওয়াভবন সিন্ডিকেটের নাম। ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বরের ভোরের কাগজ পত্রিকার সংবাদে জানা যায়- শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান, তার ভাই মহিবুল্লাহ, সহযোগী সাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ এই হামলার তথ্যপ্রমাণ প্রকাশের পর নিজেরাও স্বীকারোক্তি দিয়েছে। এসময় তারা তাদের পৃষ্ঠপোষক ও গডফাদার হিসেবে বিএনপির তিন মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের সম্পৃক্ততার কথাও জানায়।
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার সাথে জড়িত বিএনপির তিন মন্ত্রী হলো- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুএবং তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দীন। এরা নিয়মিত অর্থ ও তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতো জঙ্গিদের। তবে শেখ হাসিনাকে হত্যার মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর গ্রেনেড হামলার মাঠ পর্যায়ের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা তাজউদ্দীনকে নিরাপদে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় তারেক রহমান।
মুফতি হান্নান আরো জানায়, কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায়, পরে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মুফতি হান্নান নিজে মাঠে থেকে পুরো ঘটনা তদারকি করেছিল। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে করে তারা ঘটানস্থল ত্যাগ করে। এমনকি তাদের কিছু হবে না বলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী আশ্বাস দিয়েছিল বলেও স্বীকার করে সে।
এই মামলায় পরবর্তীতে লুৎফুজ্জামান বাবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায়, মুফতি হান্নান তার পরিচিত। হামলার আগে মন্ত্রী পিন্টুর টাঙ্গাইলের বাসা এবং মাওলানা তাজউদ্দীনের বাসায় বৈঠকের কথাও স্বীকার করে সে। এমনকি হাওয়াভবনে তারেক রহমানের সাথে জঙ্গিদের একবার একটি বৈঠকের কথাও উঠে এসেছে সবার স্বীকারোক্তিতে।