বাআ॥ ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি যে সাজানো নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট, সেই নির্বাচন না হলেও, মনোনয়ন বাণিজ্য করে কয়েক হাজার কোটি টাকা আয় করেছে তারেক রহমান। নোয়াখালী-৪ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলে আল আমিন কন্সট্রাকসনের মালিক আমিন আহমেদের কাছ থেকে নগদ ১ কোটি টাকা নেয় তারেক। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই একতরফা নির্বাচনের তারিখ বাতিল করে দেয়। তবুও সেই টাকা ফেরত না দেওয়ায় তারেকের নামে মামলা করেন আমিন আহমেদ।
২০০৭ সালের ৩ মার্চ সমকাল পত্রিকার সংবাদে বলা হয়, ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর আমিন আহমেদের কাছে ১ কোটি টাাক চায় তারেক। আমিন আহমেদ ওই টাকার জন্য ঢাকা ব্যাংকের চেক দেয়। কিন্তু চেক ফেরত দিয়ে ক্যাশ আনতে বলে তারেক। পরে সেই টাকা তুলে একজন সাবেক সামরিক কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে হাওয়া ভবনে যায় আমিন আহমেদ। কিন্তু সঙ্গের লোকদের আটক রেখে শুধু আমিন আহমেদকে হাওয়া ভবনের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তারেকের পিএস অপু সেই টাকার ব্যাগ নেয়। পরে তারেক তাকে ফোন দিয়ে টাকা পাওয়ার কথা কনফার্ম করে।
কিন্তু ২২ জানুয়ারি নির্বাচন না হওয়ায়, সেই টাকা ফেরত চান ব্যবসায়ী আমিন আহমেদ। তখন হাওয়া ভবনের পক্ষ থেকে তাকে হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। এরমধ্যেই সন্ত্রাসবাদ, লুটপাট ও দুর্নীতির দায়ে আটক হয় তারেক। এরপরেই তারেকের নামে এই চাঁদাবাজির মামলা করেন আমিন আহমদে।
আইনজীবীরা জানান, এটি ফৌজদারি মামলা। এরকম মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাজা খেটেছেন। এসব মামলায় ন্যূনতম সাজা খাটলেও, সাজা খাটার পরবর্তী পাঁচ বছর কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে বা মন্ত্রী হতে পারে না। এরশাদ সাহেবও এজন্য একটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তারেক রহমানও সাজা খাটার পর কমপক্ষে পাঁচ বছর কোনো এমপি বা মন্ত্রী হতে পারবে না।