ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আগুনে পুড়লো ৮ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে কসবা বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কুটি-চৌমুহনী থেকে দমকল বাহিনীর লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে এক ঘন্টা সময় লাগে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, গত মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে কসবা পুরাতন বাজারের পুর্ব-দক্ষিন অংশে কয়েকটি শুটকির আড়তের যে কোন একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শকসার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে কয়েকজন ব্যবসায়ী আর্তচিৎকার শুরু করলে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভাতে অংশগ্রহন করে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী এসে ঘন্টাব্যাপী সময় চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ততক্ষনে পুড়ে গেছে শুটকির আড়ত, আলুর আড়ত, হার্ডওয়ারী দোকান ও কর্মকারের দোকানসহ প্রায় আটটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গিয়ে নিস্ব হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী নন্দদুলাল কর্মকারসহ একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আগুনের লেলিহান শিখা দেখে সবাই হতভম্ব হয়ে পড়ি। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ক্ষতি পুষানো সম্ভব নয়। পথে বসার উপক্রম হয়েছে আমাদের।
বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সরকার জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে যাই ঘটনাস্থলে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
কুটি চৌমুহনী দমকল বাহিনীর লিডার আবদুল্লাহ খালিদ জানান, কসবা পুরাতন বাজারে আগুন লাগার খবর পাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই আমরা পৌছে যাই। বাজারের পাশে পুকুর থাকলেও দ্রুত সময়ে পানি সরবরাহের সুযোগ না থাকায় নিয়ন্ত্রনে আনতে কিছুটা সময় লেগেছে। বৈদ্যুতিক শক সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, আগুন লাগার বিষয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে ধারনা করা হচ্ছে প্রায় কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।