প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়ার কাছ থেকে খেরসন পুনরুদ্ধার করার সামর্থ্য ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর রয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযানকে তিনি ‘পরিকল্পিত’ এবং ‘কার্যকর’ বলেও উল্লেখ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি জং-সুপের সঙ্গে এক কনফারেন্সে তিনি এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, খেরসনে ডিনিপার নদীর পশ্চিম তীরে রাশিয়ার দখলে থাকা অবশিষ্ট ভূখণ্ড ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা ইস্যুতে আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি তাদের তা মুক্ত করার সামর্থ্য রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইউক্রেনীয়রা বিশ্বাস করে তাদের এই সক্ষমতা রয়েছে।
লয়েড অস্টিন বলেন, নিজেদের সার্বভৌম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে আমরা তাদেরকে খুব পরিকল্পিত কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখেছি। আমি মনে করি, পশ্চিম তীরের ভূখণ্ড মুক্ত করার আগ পর্যন্ত তারা অভিযান চালিয়ে যাবে। ফলে ইউক্রেন খেরসন মুক্ত পারবে কিনা প্রশ্নের জবাব হলো আমি মনে করি তাদের সামর্থ্য রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পশ্চিমা কর্মকর্তা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাশিয়ার কয়েকজন সামরিক কমান্ডার নদীর পূর্ব তীরে অবস্থান নিয়েছেন। তার মতে, খেরসনে এই পরিস্থিতির কথা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। সম্ভবত রুশ সামরিক কমান্ডাররা পূর্ব তীরে চলে গেছেন। পশ্চিম তীরে রয়ে গেছে মনোবল হারানো এবং কিছু ক্ষেত্রে নেতৃত্বহীন রুশ সেনারা ইউক্রেনীয়দের ঠেকানোর চেষ্টা করবে।
নদীর পশ্চিম তীরে রয়েছে খেরসন শহর। যা একই নামের প্রদেশের আঞ্চলিক রাজধানী। ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণ শুরুর পর রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানীও এটি। নদীর এই তীরে রয়েছে একটি বিশাল বাঁধ। যা ক্রিমিয়ায় পানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে।
কয়েক মাস ধরে ডিনিপ্রো নদী পারাপার ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে ইউক্রেন। এর ফলে পশ্চিম তীরে মোতায়েনকৃত সেনাদের রসদ সরবরাহে জটিলতার মুখে পড়েছে রাশিয়া। অক্টোবরের শুরু থেকেই ইউক্রেনীয় সেনারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। যদিও সম্প্রতি তাদের গতি আরও মন্থর হয়েছে।
খেরসন রণক্ষেত্রে নিজেদের সেনাবাহিনীর অগ্রগতির বিষয়ে চরম গোপনীয়তা বজায় রাখছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়ার পিছু হটার বিভিন্ন খবরে তারা সতর্ক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে। গত সপ্তাহে তারা বলেছে, রুশ সেনা প্রত্যাহারের কোন ইঙ্গিত দেখতে পায়নি রণক্ষেত্রের যোদ্ধারা। বাস্তবে নিজেদের সেনা মোতায়েন বাড়াচ্ছে।