প্রশান্তি ডেক্স॥ দেশের বাজারে নগদ বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনা করা মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা হাতে রাখতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ একটি সার্কুলার জারি করে এই নির্দেশনা দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এর আগে মানি চেঞ্জারগুলো কী পরিমাণ নগদ টাকা রাখতে পারবে, তা স্পষ্ট ছিল না। এ কারণে একটি কোম্পানি কত ডলার রাখতে পারবে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে সার্কুলারে।
এর আগে গত এপ্রিলে খোলাবাজারে ডলারের দাম আন্তবাজারের তুলনায় ব্যাপক বেড়ে যায়। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে লাইসেন্সহীন প্রতিষ্ঠানগুলো সিলগালা করে।
অভিযান চালানোর সময় কিছু কিছু লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা পাওয়া যায়। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মানি এক্সচেঞ্জারদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। কারণ, মানি এক্সচেঞ্জাররা যেহেতু ডলার বেচাকেনা করে, তাই তাদের কাছে নগদ টাকা অবশ্যই রাখতে হবে। এ কারণে একটি কোম্পানি কত ডলার রাখতে পারবে, তা স্পষ্ট করা হয়েছে সার্কুলারে।
ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশন গাইডলাইন অনুসারে, প্রত্যেক ব্যবসা দিবসের শেষে একটি মানি এক্সচেঞ্জারের হাতে থাকা সর্বোচ্চ নগদ বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ কিছুতেই ২৫ হাজার ডলার বা তার সমতুল্যের বেশি হতে পারবে না। যদি তাদের নগদ ডলারের পরিমাণ এই সীমার বেশি হয়, তবে দিন শেষে প্রতিষ্ঠানের নিজ নিজ ব্যাংকের ফরেন কারেন্সি (এফসি) অ্যাকাউন্টে জমা রাখতে হবে। সেই অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স কখনোই ৫০ হাজার ডলার বা সমতুল্যের বেশি হতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, দেশে ডলারে কারসাজির অভিযোগে গত ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর লাইসেন্সবিহীন অবৈধ সাত প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ডলার কেনাবেচায় বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ৪২টি প্রতিষ্ঠানকে শোকজ করা হয়। আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও স্থগিত করা হয়।