ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবার শিমরাইল ঈদগাহ মাঠে র্যাবের টহলরত সদস্যদের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যাপক সংর্ঘষে দুই র্যাব সদস্য আহত। আত্মরক্ষার্থে র্যাবের দু’রাউন্ড গুলি ছুড়লে আসামীরা ১২০ কেজি গাজা ফেলে পালিয়ে যায়। থানায় মামলা।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়; গত ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব ক্যাম্পের র্যাবের টহলরত একটি দল কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া ঈদগাহ মাঠের উত্তর পাশে দাড় করিয়ে রাখা একটি সিএনজি ও একটি মোটর সাইকেল দাড়ানো অবস্থায় ৬টি প্লাষ্টিকের বস্তাসহ ৯ জন মাদক ব্যবসায়ী। র্যাবের টহল টিমের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে দলবদ্ধ হয়ে লোহার রড, বাশ ও কাঠের লাঠি র্যাব সদস্যদের উপর আতর্কিত আক্রমন করে। তাদের আঘাতে র্যাবের সদস্য নায়েক সুবেদার মোঃ জামাল উদ্দিন ও কর্পোরাল মোঃ জসিম উদ্দিন শেখ আহত হন।
এক পর্যায়ে র্যাব সদস্য জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীরা তার সাথে থাকা সরকারি রিভলভার ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে জামাল দু’ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়লে গাজার বস্তা ফেলে মাদক কারবারীরা পালিয়ে যায়। পরে ফেলে যাওয়া ১২০ কেজি গাজা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব সদস্য নায়েক সুবেদার মোঃ জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখপুর্বক ৯ জনকে আসামী করে গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন, মেহারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শিমরাইল গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২), আবদুল মন্নাফের ছেলে মনির হোসেন (৩৫) মাজু মিয়ার ছেলে মোশারফ (২৫) সোনাবালু মিয়ার ছেলে আবু ছায়েদ (৪৫) ও জাজিসার গ্রামের মৃত কমল উদ্দিনের ছেলে বাবু (২০)।
কসবা থানা ওসি তদন্ত হাবিবুর রহমান জানান, র্যাব সদস্যদের সাথে মাদক কারবারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।