প্রশান্তি ডেক্স॥ জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে ‘চরম সত্য কথা’ বলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে দলের অফিসে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জাপানি দূত ইতো নাওকির মন্তব্য ও তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘‘আপনি যখন দুর্বল থাকেন, আপনার যখন পায়ের নিচে মাটি থাকে না, তখন আপনি এই ধরনের কথা বলবেন। এটার বাস্তবতা এটাই যে, জাপানি রাষ্ট্রদূত যেকথা বলেছেন, চরম সত্য কথা বলেছেন। ভিয়েনা কনভেনশন এখন দেখেন। যখন আপনারা এভাবে মানুষ হত্যা করেন, যখন আপনার গুম করে দেন, খুন করে দেন, দিনের ভোট রাতে করেন, ভোট না করে নিজেদেরকে সরকার ঘোষণা করে দেন তখন কোথায় থাকে? বিষয়টা তো ওই জায়গায়।”
গত সোমবার ঢাকায় সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইতো নাওকি বলেন, ‘‘আমি শুনেছি পুলিশ কর্মকর্তারা আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছেন। অন্য কোনও দেশে এমন দৃষ্টান্তের কথা শুনিনি। এভাবে ব্যালট বাক্স ভর্তির ঘটনা যাতে পুনরায় না ঘটে। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার, এটাই আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করি।”
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আসলে ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি তাদের চোখ খুলেছে। তারা এখন দেখতে পাচ্ছে যে, বাংলাদেশে কিছু হচ্ছে। বাংলাদেশ তো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। স্পার্টেড পারসেল অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল গ্লোভাল কমিউনিটি- গোটা বিশ্বের একটা অংশ। এখানে ইচ্ছা করলেই… এখন আর সেই দুনিয়া নেই যে—ইচ্ছা করলেই যা খুশি করে যেতে পারে, কেউ কিছু বলতে পারবে না। বলবেই তো মানুষ।”
তিনি উল্লেখ করেন, ‘এটা (বাংলাদেশ) তো কোনও ক্লোজড কান্ট্রি না। লাইক মিয়ানমার অর নর্থ কোরিয়া? তা না। এটা তো আপনার মোটামুটি একটা ওপেন কান্ট্রি। এখানে যাদের পার্টনারশিপ আছে, এখানে যারা ইনভেস্ট করে, এখানে যারা টাকা-পয়সা দেয়, যারা এখানে উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত, তারা তো তাদের কথা বলবেই।”
সরকার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলগুলোকে প্রভাবিত করছেন—এরকম প্রশ্ন করলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘তাহলে কী বুঝতে হবে? এটাই বুঝতে হবে—আমরা এখন জনগণকে সঙ্গে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। তাই না। ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি এখন আপনার সেদিকে চোখ দিতে বাধ্য হচ্ছে।”