ভজন শংকর আর্চায্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধ ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে রোপা আমনের ভালো ফলনে। কৃষক ইতিমধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শুরু করেছেন। অন্যদিকে এখন তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন মাড়াই কাজে। চলতি মৌসুমে অধিক বৃষ্টিপাত হওয়ায় কসবা উপজেলায় আবাদি, অনাবাদি জমিতে আমনের চাষ বৃদ্ধিতে ধানের ফলন ও বেড়েছে কয়েক গুণ। সময়মতো রোদ-বৃষ্টি থাকায় কসবায় এবার আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে ফসল ফলিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সেই ফসলের সবুজ-সোনালি ঢেউ এখন কৃষকদের স্বপ্ন দেখায় ভালো ফলন আর ভালো দামের।
দিগন্তজোড়া সবুজ ধানক্ষেত দিনে দিনে হয়ে উঠছে সোনালি বরণ। হিমেল হাওয়ায় দুলছে সোনালি ধানের শীষে চলছে ব্যস্ততা নবান্নের উৎসব জানান।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এরইমধ্যে সে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। অর্জিত ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উফশি, রঞ্জিত, বিআর-২২, বিআর-২৮, বিআর-৪৯, বিআর-৮৭, স্বর্ণবাসুরী, পায়জাম, কালোজিরা প্রভৃতি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার ভিবিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধানক্ষেতের মধ্যে পোতা বাঁশের কঞ্চি ও গাছের ডালের উপর বসে ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ নানা প্রজাতির পাখি সুযোগ বুঝে ধান গাছের ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খেয়ে ফেলছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকাসহ প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত হওয়ায় এবার ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। ধান কাটার সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা ইঁদুরের আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন হয়েছে।
কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, কসবা পৌর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নে রোপা আমন ধানের সোনালি ঢেউ খেলছে
বিনামূল্যের সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি উপকরণসহ সব কৃষি সহযোগিতা পৌঁছে দিয়েছে কৃষকদের মধ্যে।
আমি সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকের জমিতে গিয়ে ফসলের পরামর্শ দিয়েছি আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশ থাকায় এবার রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।