প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এ বি এম সারওয়ার-ই-আলম গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) মালয়েশিয়ার দশম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনোয়ার ইব্রাহিম শপথ নেন। এদিন বিকালে রাজধানী কুয়ালালামপুরে আস্তানা নেগারা রাজপ্রাসাদে রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।
শপথ নেওয়ার পর টুইট বার্তায় পাকাতান হারাপান জোটের নেতা আনোয়ার ইব্রাহিম জানান, দলের ইচ্ছা ও বিবেকের তাগিদে তিনি এই গুরুদায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা এক চিঠিতে লেখেন, ‘মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় আমি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই পদে আপনার নির্বাচন একটি সুস্পষ্ট সাক্ষ্য এবং আপনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা এবং দেশের জন্য আপনার দীর্ঘ সময়ের ত্যাগের প্রতি মালয়েশিয়ার জনগণের আস্থা ও আস্থার বহিঃপ্রকাশ। আমি নিশ্চিত যে আপনার ক্যারিশম্যাটিক স্টুয়ার্ডশিপের অধীনে, মালয়েশিয়া সামনের দিনগুলিতে আরও সমৃদ্ধির সাথে উন্নতি করতে থাকবে।’
তিনি বিশ্বাস করেন, ‘নবাগত প্রধানন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে মহুমাত্রিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তিনি মালয়েশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক স্বার্থে দুই দেশের উপকারের জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য উন্মুখ।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালয়েশিয়ার প্রধানন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের সুখ ও শান্তি, অগ্রগতি-সমৃদ্ধি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশটির ১৫তম সাধারণ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। পার্লামেন্টের ২২২ আসনের মধ্যে সরকার গঠনের জন্য বড় দুই জোট পাকাতান হারাপান ও পেরিকাতান ন্যাশনাল ১১২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়। পরে মালয়েশিয়ার রাজা আল-সুলতান আব্দুল্লাহ শিগগিরই পছন্দসই ও যোগ্য ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানান। সরকার গঠনে রাজনতিক দলগুলোর কোন্দলে সমঝোতায় ব্যর্থ হওয়ায় রাজার হস্তক্ষেপে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়া হলো আনোয়ার ইব্রাহিমকে।
মালয়েশিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী জোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে থাকেন। আর যদি কোনও জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় সরকার গঠন করতে, তাহলে একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হস্তক্ষেপ করেন দেশটির রাজা।