ভজন শংকর আচার্য্য কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি॥ করোনা মহামারী প্রতিরোধে দুই দেশের সিদ্ধান্তক্রমে দীর্ঘ আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাট আবারও চালু করতে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সীমান্ত হাট পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিষয়টি জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুূদ উল আলম। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় গত মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্ত হাট পরিদর্শন করেন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্যাট (এডিএম) হেলেনা পারভিন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আলোচনা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলম, পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন প্রমুখ। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়; করোনা মহামারী দেখা দেওয়ায় ২০২২ সালের মার্চ মাসে দুই দেশের পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে বন্ধ ঘোষনা করা হয় সীমান্ত হাট। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর হাট বন্ধ থাকার পর করোনা মহামারী কমে যাওয়ায় আবারও চালু করতে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ২০৩৯ পিলারের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর এলাকার তারাপুর এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহীজলা জেলার কমলাসাগর এলাকায় দুই দেশের সমপরিমাণ এক একর ৫০ শতক জায়গাজুড়ে সীমান্ত হাট বসে। প্রত্যেক রোববার বসতো এ হাট।। এতে ভারতের ২৫টি এবং বাংলাদেশের ২৫টি দোকান বসে। পরবর্তীতে দোকান সংখ্যা আরো বাড়ানো হয়। হাট পরিচালনা পর্ষদের সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে করোনা মহামারির কারনে সীমান্ত হাটটি প্রায় আড়াই বছর আগে বন্ধ ঘোষনা করা হয়। হাটটি আবারও চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ অংশের সীমান্ত হাট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহোদয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। হাটের বর্তমাান অবকাঠামোর কিছু সমস্যা নজরে এসেছে। সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
হাট পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্যাট (এডিএম) হেলেনা পারভিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় সীমান্ত হাটটি চালুর বিষয়ে বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে পরিদর্শন করা হয়েছে।