ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না এই কথাটি শতভাগ সত্য এবং বাস্তবতার নীরিখে এখন দৃশ্যমান। তবে এই কথাটির যথার্থতা বুঝার সময় ও সুযোগ দিনে দিনে কমে এখন শুন্যের কোটায় এসে দাঁড়িয়েছে। যুগে যুগে যা ঘটেছে এবং ঘটবে আর যা ঘটার জন্য নেতিবাচক বা ইতিবাচক চেষ্টা চলছে তার ফল কি; তা ভেবে দেখার সময় এখন। আমরা নিজেদের জন্য কত কিই না করি কিন্তু খুব কম মানুষই ঐ ফল ভোগ করতে পারেন। তবে যত কুচক্রি বা খারাপ চিন্তা বা মিথ্যা দিয়ে সত্যকে অথবা ক্ষমতাকে এমনকি অর্থকে আকঁড়ে ধরে থাকার ব্যবস্থা করতে চাই তা কিন্তু কখনো কখনো হয় আবার কখনো কখনো হয় না। তবে এইক্ষেত্রে কখনো কখনো তৃতীয় কোন ব্যক্তি বা গোত্র অথবা গোষ্ঠি আমাদের দ্বারা অর্জিত সম্পদ বা ফসল তারা নিজেদের ঘরে তুলেন। নিজেকে নিয়ে ভাবুন, চারিদিকের ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে ভাবুন; জলন্ত বা জিবন্ত দৃষ্টান্তগুলো দেখুন। আগামীর তরে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করুন। এই সময়ের জন্য একটি গানের কলি খুবই খারাপ শুনতে কিন্তু বাস্তবের সঙ্গে এর মিল খুজে পাওয়া যায়। “জালাইলে আগুন জ্বলবে আগুন নিবাইবে তোর কোন বাবায়”। হ্যা এই সময়ের সকল কিছুতেই জ্বলছে এবং জ্বলবে কারণ নিভানোর কেউ নেই। সবাই যার যার ফায়দা লোটার আশায় ঐ আগুন জ্বলতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। আজ লোভের বসবতি হয়ে সবাই যেন আগুন জ্বালানোর প্রচেষ্টায় ঘি ঢালছে। তবে সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐ আগুনের লেলিখান শিখার গতিপ্রকৃতির সকল কিছু পরখ করে শান্তির ও স্থিতিশীলতার ঘী ঢেলে জাতিকে এবং তৎপরবর্তীতে বিশ্বকে শান্ত করে একটি নবদিগন্তের দৃষ্টান্ত উপহার দিতে হবে। আগামীর পৃথিবী নবধারায় এবং নব নব ইতিবাচক দৃষ্টান্তের মোহনায় প্রস্কুটিত হউক আপনার, আমার ও আমাদের সকলের প্রাত্যহিক প্রচেষ্টায়।
আসুন আমরা চোখ কান খোলা রেখে মিথ্যার পসরা সাজানো বুলি এবং গালিতে মুগ্ধ না হয়ে নিজের নিজের চিন্তা ও পরিকল্পনায় অগ্রসর হই। মন্দের দ্বারা ভাল’র আশা করা যায় না। মন্দকে দিয়ে ভালকে প্রতিষ্ঠাও করা যায়নি এবং যাবেও না। মন্দ যত ভাল সাজুক না কেন মন্দ মন্দই থেকে যায়। মন্দ কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না বরং মন্দ সুযোগের আশায় থাকে যেন তাঁর মন্দতার গতি প্রকৃতি আরো বাড়াতে পারে। মন্দকে উসকে দেয়া মানুষগুলো কিন্তু নিজ স্বার্থ এবং ফন্দি এটে বসে থাকে যাতে করে মন্দতার সুযোগে সে তার কামিয়াবী হাছিল করতে পারে। তবে ঐ কামিয়াবীতেও মন্দতার শতভাগ সুযোগ থেকে যায়। কারন মন্দরা মন্দের জয়োল্লাসে কাজ করে আর সত্যের ও সাম্যের এবং অগ্রগতির আর শান্তির এবং নিশ্চয়তা ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে মরিয়া হয়ে লড়ে। আসুন আমরা বর্তমানের মন্দতাকে চিহ্নিত করি। কি কি মন্দতা এখন কিভাবে কাজ করছে এবং কাদেরকে ব্যবহার করে ঐ অন্ধকারের মন্দতারা একত্রিত হয়ে মহা প্রলয়ের তরে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে তা খতিয়ে দেখে এগুতে হবে। সবাইকে ভাবতে হবে, যাতে ঐ মন্দতার ছোবলে আগামীর কোন ক্ষতি হতে না পারে।
যারা আজ উম্মাদ হয়ে মন্দতার সঙ্গে বসবাস করছে এবং অন্যদেরকে করাতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে এগুচ্ছে তাদের ঐ কৌশলের আড়ালে যারা এখন ঘাপটি মেড়ে বসে আছে তাদেরকেও চিহ্নিত করে আগামীর পদক্ষেপ নিয়ে এগোতে হবে। নতুবা মন্দতারাই সাময়ীক জয়ী হবে। আসুন দল-মত নির্বিশেষে মন্দতা পরিহারে কাজ করি এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার সমুহ সুযোগ কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখি। বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে বলা যায় কিন্তু এই রাজনীতির মাঝে কালোনীতি বা মন্দতা এখন মাক্স হিসেবে কাজ করছে যাতে প্রকৃত চরিত্র বা স্বরূপ উদঘাটন করতে কষ্ট হচ্ছে। ওয়ান এলাভেনের পুর্বের মন্দতা এবং ঐ সময়ের মন্দতা আর তৎপবর্তী মন্দতার সঙ্গে ঐ সময়ের ঘাপটি মেরে বসে থাকারাই যেন আজ আবার পুৃনরায় ঐক্যবদ্য হয়েছে। কিন্তু ঐসময়ের ভোক্তভোগীরা যেন ভুলে গেছে তাদের সেই সময়ের হিসেব নিকেশ পাল্টে দিয়েছিল ঘাপটি মেরে বসে থাকারা। ফায়দা লুটেছিল যারা তারা কিন্তু কাউকেই সহযোগীতা করেনি বরং সকলকেই আঘাত করেছিল এবং কলঙ্কের তিলক এটে দিয়েছিল। যা আজও বহন করে জাতির সামনে লজ্জ্বামাখা মুখ ও দল নিয়ে হাজির হতে হচ্ছে। তবে এবারের এই আয়োজন আরো চাতুরঙ্গে পরিপূর্ণ। তাই সাবধান এমন অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরীর পথে যাবেন না; যে, আগামীতে আপনাদেরকে আরো কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে পার হতে হয়। জাতির কপালে ঘাপটি মেরে থাকাদের দ্বারা তিলক আটতে আপনারা আর কলুর বলদের মত খাটবেন না। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ছাগলের তিন বাচ্চার দশা। এই দশা বেশীই বেমানান। তাই এই নাখেয়ে লাফানোর দশা থেকে মুক্তি এবং মুক্ত হতে জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেচনার ব্যবহার আসন্ন। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে আসুন, জ্ঞান যাচনা করুন এবং সৃষ্টিকর্তার জ্ঞানে নিজেদেরকে সাজিয়ে আগামীর পরিকল্পনা প্রণয়ন করে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করুন। সৃষ্টিকর্তা চায় আপনাকে, আমাকে এবং আমাদেরকে ব্যবহার করতে। আসুন আমরা ব্যবহৃত হতে এমনকি মানবতার ও সৃষ্টির কল্যানে নিবেদিত প্রাণ হয়ে সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়ে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা আর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করি । বিদেশীদের চক্রান্তের স্বীকারে পরিণত না হয় কারণ তারা কখনো কারো উপকারে আসেনি এবং আসবেও না বরং তারা আমাদেরকে তাদের কামাইর পুত (উপার্জনের বাহান) হিসেবেই ব্যবহার করে নিজের আখের গুছিয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়ে আবার নতুন কাউকে নিয়ে খেলবে। তাই ভাবিয়া করিও কাজ; করিয়া ভাবিয়োনাতে মনযোগী হই।