প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে তাহলে তা আরেকটি ‘উসকানিমূলক’ পদক্ষেপ এবং এতে মস্কো পাল্টা পদক্ষেপ নেবে। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হুমকি দিয়েছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকরভাবে একটি পক্ষ হয়ে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সরবরাহ করতে পারে এমন খবরের পর তিনি এই মন্তব্য করলেন। এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে দেওয়া মার্কিন অস্ত্রের মধ্যে এটিই সর্বাধুনিক অস্ত্র। এটি একটি ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এটি পেলে ইউক্রেন রাশিয়ার বিমান হামলা কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে পারবে।
মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, অত্যাধুনিক এই অস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি মার্কিন সামরিক সহযোগিতার পরিমাণের অর্থ হলো সামরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতাপূর্ণভাবে জড়িত হওয়া। এর সম্ভাব্য পরিণতি থাকবে।
কেমন পরিণতির মুখোমুখি হবে যুক্তরাষ্ট্র, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
বুধবার একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নাগাদ এই সামরিক সহযোগিতা প্রদানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে।
এর আগে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা হামলার জন্য রাশিয়ার একটি বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।
ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে পিছু হটার পর ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা জোরদার করেছে। এসব হামলা থেকে প্রতিরক্ষার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টে ভলোদিমির জেলেনিস্ক যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের কাছে আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য অস্ত্র সহযোগিতা চেয়ে আসছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, ইউক্রেনে একটি প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের। একটি ট্রাকে বসানো প্যাট্রিয়ট ব্যাটারিতে আটটি লঞ্চার থাকে, প্রতিটি লঞ্চারে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র রাখা যায়।