প্রশান্তি বিনোধন ডেক্স॥ ‘ক্যাচ মিস মানে ম্যাচ মিস’- ক্রিকেটে বহুর প্রচলিত কথা। যদিও ঢাকা টেস্ট এখনও হাতছাড়া হয়নি স্বাগতিকদের। তবে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা যেভাবে সুযোগ দিয়েছেন, তাতে করে ম্যাচটি হাতছাড়া হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভারতের ইনিংসের শীর্ষ দুই সংগ্রাহক শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্ত শুরুতেই জীবন পেয়ে সেটি কাজে লাগিয়েছেন। এর আগেও গুরুত্বপূর্ণ মুহুর্তে ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ‘বাজে’ অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। সংবাদ সম্মেলনে মিস ফিল্ডিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিরক্ত প্রকাশ করলেন তাইজুল ইসলাম।
৮৮ রানের ইনিংস খেলা শ্রেয়াস আইয়ার দুই বার জীবন পেয়েছেন, একবার ১৯ ও একবার ২১ রানে। ৯৩ রানের ইনিংস খেলা ঋষভ পান্ত ১৪ রানে জীবন পেয়েছেন। এই দুই জনই ১৫৯ রানের বিশাল জুটি গড়েছেন। শুরুতেই এই দুই ব্যাটারকে ফেরানো গেলে ভারতের ৮৭ রানের লিড আটকানো যেত। বাংলাদেশও থাকতো চালকের আসনে। কিন্তু ভালো একটি দিন কাটানোর পরও অস্বস্তি নিয়েই ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে স্বাগতিকদের।
দিনের খেলা শেষে অবধারিতভাবেই এলো ক্যাচ মিসের প্রশ্ন। বড় ম্যাচে, গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতিতে এমন মিস ফিল্ডিং কেন, এমন প্রশ্নে বিরক্তমাখা কণ্ঠে তাইজুলের উত্তর, ‘ধৈর্য হয়তো আমাদেরও কম, আপনাদেরও কম। আমার কাছে দেখে মনে হয় শতভাগ দিয়েছি। আমি খারাপ কিছু দেখিনি।’
তাইজুল আরও বলেছেন, ‘ওই সময় দুই-তিনটা সুযোগ এসেছিল। আমরা যদি ওই দুই-তিনটা সুযোগ নিতে পারতাম, তাহলে ওদের লিডের আগেই অলআউট করা সম্ভব হতো।’
জীবন পাওয়ার পর পরই ভারতীয় এই দুই ব্যাটার ছড়ি ঘুরিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের উপর। বিশেষ করে দিনের দ্বিতীয় সেশনে উইকেটতো দূরে থাক, স্বাভাবিক লেন্থেও বোলিং করতে পারেননি কোন বোলার! তাহলে কি মিস ফিল্ডিং বোলারদের মধ্যে চাপ তৈরি করে? তাইজুলের উত্তর, ‘মাঠের মধ্যে আমাদের মাথা কাজ করে না, ব্যাপারটা এমন নয়। এটা হলে পরের বল করাটা আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে। এগুলো আসলে ভুলে যাওয়াটা ব্যাটার।’
যদিও তাইজুল স্বীকার করেছেন ফিল্ডিংয়ে তাদের লেকিংসের কথা, ‘সত্যি কথা বলতে আমাদের এখানে (ফিল্ডিংয়ে) একটু লেকিন্স আছে। লেকিন্সটা এরকম যে বড় বড় দলের সঙ্গে খেলতে গেলে হয়তো বা এ সুযোগগুলো পাওয়া যায় না। ভুলগুলো আমরা দ্রুতই কাভার করার চেষ্টা করবো।’