ভজন শংকর আচার্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মাল্টা চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। ধীরে ধীরে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সবুজ সোনা খ্যাত বাবি এক ও দুই জাতের এই মাল্টা। প্রথমে সাইট্রাসজাতীয় এখন চাষে কৃষকের অনাগ্রহ থাকলেও বর্তমানে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের সহায়তায় চাষাবাদে জনপ্রিয়তা বেড়েছে এর ফলটির।
অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন গোপীনাথপুর ও বায়েকে কয়েক বছর ধরে এই মাল্টা চাষে ঝুঁকেছেন কৃষক। আর সেই মাল্টা চাষে ভাগ্য বদল হয়েছে আজিজুল হক নামে এক কৃষকের। উপজেলার রামপুর এলাকার কৃষক আজিজুল হক কে দেখে এমন অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই ফল চাষে।
কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, উপজেলার দুটি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক এ বছর ২৩ হেক্টর জমিতে মাল্টা চাষ করেছেন।
কৃষক আজিজুল হক জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে উপজেলার বাড়াই গ্রামের এক কৃষকের করা মাল্টা বাগান দেখে পরের বছর ২০১৭ সালে কৃষি কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। প্রথমে নিজের দুই বিঘা জমিতে চাষ করেন সবুজ জাতের মাল্টা। এক বছর পর আরো দুই বিঘা জমিতে মাল্টার চাষ করেন। ওই বৎসর মাল্টা বিক্রি করে দেড় লাখ টাকার বেশি আয় করেন আজিজুল হক। এরপরের বছর আরো ১৫০ শতাংশ জমিতে মাল্টার চারা রোপন করেন তিনি।
এক বছর পর থেকে মাল্টা বিক্রি শুরু করেন সেই বাগান থেকে। এরপর থেকে প্রতিবছর আইজুল হক প্রায় ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা আয় হয়।
কৃষক আজিজুল হককে দেখে এখন অনেকেই যোগাযোগ করছে বলে কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো পাহাড়ি ও উচু হওয়ার কারণে মাল্টা সহ এ জাতীয় ফল চাষের উপযুক্ত। এ বছর ২৩ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে এই বাবি জাতের সবুজ মাল্টা। গত বছরের তুলনায় এ বছর ২ হেক্টর বেশি জমিতে মাল্টা চাষ বেড়েছে। এবছর বাগান গুলোতে ভালো ফলন হয়েছে লাভজনক ফসল হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে