প্রতিষ্ঠানগুলো কোন কেনা প্রশ্নদিয়ে পরীক্ষা নিতে পারবে না

বাট্রি॥ সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক, প্রাক নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার জন্য সমিতির কেনা প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারবে না কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।  নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রশ্নপত্র তৈরি করে সেই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় কোনও পরিদর্শককে সম্মান জানাতে বা সংবর্ধনা দিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকায় এসব নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি থেকে প্রশ্ন কিনে বিভিন্ন পরীক্ষা নেয়। কিন্তু প্রতিবছর কোনও না কোনও বিতর্ক দেখা দেয় এসব প্রশ্ন নিয়ে।

আগামী রবিবার শুরু হচ্ছে নতুন বছর। নতুন বছরে (২০২৩ সালে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে  শুক্র ও শনিবার ছাড়া মোট ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ দিন। প্রসঙ্গত, এ বছর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে দুইদিন ছুটি থাকবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষা ও প্রাক-নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন থেকে ১৮ জুন। সর্বোচ্চ ১২ কর্মদিবসে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। ফল প্রকাশ করতে হবে ১২ জুলাই। আর নির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১ অক্টোবর থেকে ১৬ অক্টোবর, ১২ কর্মদিবসের মধ্যে। ফল প্রকাশ ২৮ ডিসেম্বর। বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৩ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বের ১২ কর্মদিবসের মধ্যে।

কোনও বিশেষ কারণে পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করতে হলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের অনুমতি নিতে হবে। নিজ নিজ বিদ্যালয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করবে। কোনও অবস্থানেই অন্য উৎস থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করা যাবে না।

কোনও সরকারি কর্মকর্তার পরিদর্শন উপলক্ষে বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া যাবে না। পরিদর্শনকারী ব্যক্তির প্রতি সম্মান জানতে বা সংবর্ধনা জানাতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় দাঁড় করানো যাবে না।

ছুটির সময় শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পাদন করতে এবং অন্যান্য পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনে বিদ্যালয় খোলা রাখা যাবে। এসএসসি পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কেন্দ্র ছাড়া অন্যান্য বিদ্যালয়ে যথা সময়ে শ্রেণি কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সব দিবস যথাযথ পালন করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের সরকার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে এবং শিক্ষা সপ্তাহ পালন করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.