বাআ॥ বিজয়ের মাস এলেই নাশকতা শুরু করে বিএনপি-জামায়াত চক্র। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে সাভার-আশুলিয়ার বস্তিতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর হামলা, মারপিট ও অগ্নিসংযোগ করে আশুলিয়ার খাস জমি থেকে প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়ি ও ক্ষুদ্র ব্যবসা উচ্ছেদ করা হয়। সেই সরকারি জমি অবৈধভাবে দখল নিয়ে আবাসন প্রকল্প করার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ সংসদ সদস্যরা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
ঢাকার তিন এমপি দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, এসএ খালেক এবং জিয়াউর রহমান খান সেই হাউজিং প্রকল্পের মালিক। হাওয়া ভবন থেকে তারেকের নির্দেশে এসএ খালেক ঢাকার ওই অংশের সন্ত্রাসীদের তত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। দেওয়ান সালাউদ্দিনের আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নিজের পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দেন তিনি।
২০০৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদে জানা যায়, মধ্যরাতে বিএনপির এমপির নেতৃত্বে দুই শতাধিক সন্ত্রাসীর হামলায় প্রায় অর্ধশত মানুষ গুরুতর আহত হন। এরপর তারা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিলেও দুই দিন ধরে নির্যাতন এবং লুটপাট চালিয়ে এক কাপড়ে এলাকা ছাড়া করা হয় নারী-শিশুসহ কয়েকহাজার মানুষকে।
আশুলিয়ার সেই খাস জমি প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য বরাদ্দের কথা ছিল। কিন্তু তারেক রহমানের সাথে যোগসাজশ করে ভুশি মন্ত্রণালয় থেকে তা স্থগিত রাখা হয়। এরপর বাস্তুহারাদের জন্য ১১ একর জমি ১ বছরের জন্য লিজ দেওয়ার মাধ্যমে সেই জমি কৌশলে দখল করে বিএনপি নেতারা। পরবর্তীতে রাতের আঁধারে বাস্তুহারাদের পিটিয়ে বের করে দিয়ে নিজেদের হাউজিং কোম্পানির নামফলক লাগায় তারা।
সাভার থানার পুলিশ জানায়, তাণ্ডবের খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু ঘটনাস্থলে বিএনপির এমপিরা র্যার সদস্যদের নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং পুলিশকে ফেরত যেতে নির্দেশ দেন। এরপর নিরূপায় হয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়েই ফিরে যেতে বাধ্য হয় পুলিশ বাহিনী। আনসার কমান্ডারও এই তাণ্ডবের সময় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ এমপি ও র্যাবের উপস্থিতির কথা স্বীকার করে বলেন, তাদের কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।