প্রশান্তি ডেক্স॥ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার মসজিদে মসজিদে ডাকাত আতঙ্কের মাইকিং শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার পর। মাইকিং শুনে এ সময় ডাকাতির অভিযোগে তিন যুবককে আটক করে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনা ঘটেছে মুরাদনগর উপজেলার ধারোরা ইউনিয়নে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে মুরাদনগরের ধারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা ও কাজীয়াতল গ্রামে একাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ওই এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার পর ধারোরা ইউনিয়নের পালাসুতা গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে মসজিদে মাইকিং শুরু হয়। এরপর পাশের এলাকায় মাহফিল চলাকালে মাহফিলের মাইক থেকে মাইকিং করে স্থানীয়রা। পরে তা পুরো উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ডাকাত প্রতিরোধে প্রত্যেক ঘরবাড়ি থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করে স্থানীয়রা। পরে পালাসুতা গ্রামে তিন যুবককে আটক করে ডাকাতির অভিযোগে গণধোলাই দেয় লোকজন। তবে অনেকেই ডাকাতির আতঙ্ককে গুজব বলেও জানিয়েছেন।
সায়েম সরকার নামের স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। এতে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানকে জানালে চেয়ারম্যান লোকজনকে নিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করে দেয়। গত বৃহ্স্পতিবার রাত ১১টার পর এলাকায় ডাকাত পড়েছে সন্দেহ হলে সবাই ধাওয়া করে। এ ঘটনায় আশপাশের সব মসজিদে ডাকাত আতঙ্কের মাইকিং শুরু হয়। এ সময় তিন জনকে ধরে স্থানীয়রা গণপিটুনি দেয়।
ধারোরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন খন্দকার বলেন, আগেও ডাকাতি হয়েছে। মানুষ আত্মরক্ষায় পাহারা দিয়েছে। এটা স্থানীয়রা ঘরে ঘরেই করেছে। আর যেভাবে ছড়িয়েছে ঘটনাটি তাকে কিছুটা গুজবও আছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, স্থানীয়রা ডাকাত সন্দেহে তিন জনকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ডাকাতির আতঙ্ক থেকে গুজব ছড়িয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।